বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় তোলা সেই নিজস্বী (বাঁ দিকে)।
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাঁরা ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। তবু দু’দেশের কন্যা একসঙ্গে নিজস্বী তুলে পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছ’মাস আগে তাই নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। বিতর্কের জেরে ২০১৭ সালের মিস ইরাক সারা ইদান পরিবার-সহ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। কারণ তিনি ছবি তুলেছিলেন মিস ইজ়রায়েল আদার গান্দেলসমানের সঙ্গে। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘মিস ইরাক এবং মিস ইজ়রায়েলের তরফ থেকে শান্তি আর ভালবাসা।’
লাস ভেগাসে গত বারের প্রতিযোগিতায় গিয়ে তাঁরা ছবি তুললেও সেটা ভাল চোখে দেখেননি ইরাকের কট্টরপন্থীরা। ছবি সরানোর ফতোয়া দিয়ে সারাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া শুরু হয়। তার পরেই দেশ ছেড়ে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। যদিও ছবি সরাননি। শুধু মন্তব্য করেছিলেন, ‘কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না।’
সম্প্রতি দুই বন্ধুর আবার দেখা হয়েছে ইজ়রায়েলে। তাঁরা আবারও একসঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘বোনদের পুনর্মিলন।’
এমনিতে ইরাক আর ইজ়রায়েলের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই ইরাকের নাগরিক সারা যখন প্রথম বার ছবি পোস্ট করেন, তা দেখে সে দেশের অনেকেই মনে করছিলেন, সেটা ইজ়রায়েলের হয়ে প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। প্যালেস্তাইনি আরবদের দাবি ছিল, এটা তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
সারা সে সময়ে বলেছিলেন, ‘‘এ ধরনের কিছু যে হতে পারে, ছবি পোস্টের আগে মনেই হয়নি। পরে বুঝলাম ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। অনলাইনে যে ভাবে আমায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, সেটা ভয়ঙ্কর।’’
এখন বিতর্ক দূরে ঠেলে ইজ়রায়েল সফরে গিয়েছেন সারা। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। সারা বলছেন, ‘‘আমার মনে হয় না ইরাক আর ইজ়রায়েল শত্রু। হয়তো দুই সরকার পরস্পরের শত্রু। কিন্তু ইরাকের বহু মানুষেরই ইজ়রায়েলের নাগরিকদের সম্পর্কে কোনও সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy