শুনানি চলাকালীন আদালতের ভিতর ছবি তোলার অভিযোগে পাকিস্তানের ভারতীয় দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারির ফোন বাজেয়াপ্ত করল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে উজমা নামে এক ভারতীয় মহিলার বিয়ে সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল। সে সময় হাইকোর্টে হাজির ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিক পীযূষ সিংহ। অভিযোগ, বিচারক মহসীন আখতার কায়ানি যখন মামলার বিষয়টি শুনছিলেন, সে সময় নিজের মোবাইল থেকে বিচারকের ছবি তোলেন সিংহ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই আদালতের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ এনে সিংহের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সঙ্গে এই কৃতকর্মের জন্য সিংহকে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথমে মৌখিক ভাবে ক্ষমা চাইলেও পরে লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন সিংহ। জানা গিয়েছে, উজমা নামে ওই মহিলার হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দিতে গিয়েছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের ওই আধিকারিক। এক বিবৃতিতে সিংহ বলেন, “আদালতে ভুলবশত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: ভারতে লাগাতার হামলার ছক পাক জঙ্গিদের, মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট
উজমা নামে এক ভারতীয় মহিলাকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে খাইবার-পাখতুনখোয়ার বাসিন্দা তাহির আলির বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গত ৮ মে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উজমা। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিও দেন। ম্যাজিস্ট্রেটকে তিনি জানান, পাকিস্তানে এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে বিয়ে করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর আইনি নথিপত্রও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই মামলারই শুনানি ছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে।
উজমাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে গত বুধবারই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা চালায় ভারত। পাকিস্তানের তরফ থেকে জানানো হয়, কিছু আইনি বিষয়ের কারণেই উজমার ভারতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি দেরি হচ্ছে। সেই সমস্যা মিটে গেলেই দ্রুত তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।