প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
ফের সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার আকাশে ঢুকল ইউক্রেনের ড্রোন। এ বার একেবারে মস্কোয়। দ্রুত তিনটি ইউক্রেনীয় ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে। একটিকে শহরতলির কাছে ধ্বংস করা হয়। বাকি দু’টি ড্রোনকে যন্ত্রের সাহায্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়। একটি অফিস চত্বরে ভেঙে পড়ে ড্রোন দু’টি। এ ঘটনায় কেউ জখম হননি। তবে রাশিয়ার রাজধানীতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে নিমেষে। আতঙ্কে তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় মস্কোর নুকভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঘটনাচক্রে গত কালই আফ্রিকার শান্তি-বাহিনীর প্রস্তাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘‘ওদের উদ্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি খুবই জটিল।’’
সাম্প্রতিক কালে রাশিয়ায় ঢুকে ইউক্রেনের হামলার সংখ্যা বেড়েছে। রুশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে প্রায়শই হামলার খবর শোনা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে আফ্রিকার শান্তি-বাহিনীকে পুতিন বলেন, ‘‘ইউক্রেনীয় বাহিনী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ওদের বড়সড় যুদ্ধ-পরিকল্পনা রয়েছে... এ অবস্থায় হামলার মুখে আমরা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে পারি না।’’
সাম্প্রতিক কালে রুশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে একাধিক হামলা চালিয়েছে কিভ। কিন্তু রাজধানীতে এই প্রথম। এ দিনের হামলায় সরাসরি কিভের দিকে আঙুল তুলেছে ক্রেমলিন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে ‘সন্ত্রাস হামলার চেষ্টা’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘৩০ জুলাই সকালে কিভের শাসক সন্ত্রাস হামলার চেষ্টা করেছে। মস্কো অঞ্চলের ওডিন্টসোভো ডিসট্রিক্টে একটি ‘আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল’ (ইউএভি) আকাশেই ধ্বংস করেছে এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। অন্য দু’টি ড্রোনকে যন্ত্রের সাহায্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ড্রোন দু’টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অফিস চত্বরে ভেঙে পড়েছে।’’
মস্কোর মেয়র সের্গেই সবয়ানিন জানিয়েছেন, কেউ জখম হননি। স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, মস্কোর নুকভো বিমানবন্দরে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাময়িক ভাবে বিমানের মুখ ঘুরিয়ে অন্যত্র নামানো হয়েছিল। তবে এক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy