বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সঙ্গে আজ পৃথক পৃথক ভাবে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকের পরে বিএনপি জানাল, ঘোষণা মতো নির্ধারিত সময়েই জাতীয় নির্বাচন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ইউনূসের কাছে আলাদা আলাদা ভাবে তোপ দেগে এসেছে এনসিপি এবং জামায়াত। তাদের নিশানায় জাতীয় পার্টি। এক কদম এগিয়ে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে, তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জামায়াত। এনসিপি-র দাবি, জাতীয় পার্টির কাজকর্মের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক সরকার।
আজ রাতে বৈঠকের পরে বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘উনি আমাদের ডেকেছিলেন, এটা নিশ্চিত করতেই যে নির্বাচন সঠিক সময় হবে। তাই এ ব্যাপারে কোনও দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়।’’ নির্বাচন পিছোনোর কোনও সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে সে অনুযায়ী হবে, প্রধান উপদেষ্টা সেটিই নিশ্চিত করেছেন।’’ তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
জাতীয় পার্টি নিয়ে বিএনপি-র থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থানে এনসিপি। জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা। এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আবীদ বলেন, ‘‘গত তিনটি অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা দিতে জাতীয় পার্টি সহযোগিতা করেছে। সুতরাং তারা আওয়ামী লীগের অংশ। এখন তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করার বিষয়ে সরকারকে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’’
নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে জামায়াতে নেতারা। দলের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। লন্ডনে গিয়ে তারিখ ঘোষণার ঘটনায় নিরপেক্ষতার প্রশ্ন রয়েছে।’’ এনসিপির মতোই তাদেরও দাবি, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, ওই দলটি সর্বোত ভাবে আওয়ামী লীগের সহযোগী।
আজ ঢাকার রাস্তায় সুবিশাল মিছিল করে আওয়ামী লীগ। ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিল থেকে ইউনূসের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)