বিস্ফোরণের পর কাবুলের তাবায়ান সংস্কৃতি কেন্দ্রের আশাপাশের এলাকা। বৃহস্পতিবার।
পর পর তিনটি বিস্ফোরণ কাবুলে। প্রাণ হারালেন কম করে ৪০ জন। জখমের সংখ্যা ৩০।
কাবুলের কেন্দ্রস্থলে তাবায়ান সংস্কৃতি কেন্দ্রে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের উপ মুখপাত্র নসরত রাহিমি বলেছেন, ‘‘তাবায়ান সংস্কৃতি কেন্দ্রটি মূলত শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের। সেখানে আফগানিস্তানে রুশ আগ্রাসনের ৩৮তম বার্ষিকী পালনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’
ওই সংস্কৃতি কেন্দ্রের কাছেই সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘আফগান ভয়েস এজেন্সি’র অফিস। ওই সংবাদ মাধ্যমের অফিসটি জঙ্গিদের টার্গেট হতে পারে বলে আফগান গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল।
আরও পড়ুন- চিন-পাক করিডর আফগানিস্তান পর্যন্ত টানার চেষ্টা
আরও পড়ুন- আত্মঘাতী হানা কাবুলে, হত ৭
এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন ওই ঘটনার দায় নেয়নি। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তালিবানরাও।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হাত থাকতে পারে বলে আফগান পুলিশের সন্দেহ। তালিবানদের জমি কাড়তে বহু দিন ধরেই তালিবান জঙ্গিদের দলে ভেড়াতে শুরু করেছে আইএস। ফলে তালিবানরা আগের তুলনায় অনেকটাই হীনবল হয়ে পড়েছে। আফগানিস্তানে রুশ আগ্রাসনের কট্টর বিরোধী তালিবানরা আইএসে এসে ওই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আফগান পুলিশের একাংশের অনুমান।
কাবুলে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের উপ মুখপাত্র নসরত রাহিমি জানিয়েছেন, এ দিন মূল বিস্ফোরণের পর আরও দু’টি বিস্ফোরণ হয়েছে তাবায়ান সংস্কৃতি কেন্দ্রে।
মহম্মদ হাসান রেজায়িহি নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ঘটনার সময় ছিলেন তাবায়ান সংস্কৃতি কেন্দ্রে। তাঁর মুখের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy