হামলার শিকার কাবুলের গুরুদ্বার। ছবি: সংগৃহীত।
শনিবার সকালে কাবুলের গুরুদ্বারের পাশে হঠাৎই দু’টি জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুদ্বারের অন্দর থেকে ভেসে এসেছে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলির আওয়াজ। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটিকে জঙ্গি হামলা বলে মনে করছে তালিবান সরকারের পুলিশ। ঘটনার কথা জানার পরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার।
গত বছর অগস্টে তালিবানের কাবুল দখলের পর সে শহরের বাসিন্দা শ’দুয়েক শিখ ও হিন্দু ভারতে চলে এসেছিলেন। তার আগে তাঁদের সাময়িক আশ্রয়স্থল হয়েছিল কার্তে পারওয়ান এলাকার ওই দশমেশ সাহিবজি গুরুদ্বার। স্থানীয় সূত্রের খবর, বর্তমানে ১৬ জন শিখ ওই গুরুদ্বারে থাকতেন। গত অক্টোবরে ওই গুরুদ্বারে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক তালিবান কমান্ডার ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটেছিল কাবুলে।
গুরুদ্বারে হামলার পিছনে পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর আফগান শাখা ‘ইসলামিক স্টেট খোরাসান’ (আইএসকে) রয়েছে বলে তালিবান নিয়ন্ত্রিত কাবুল পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। তবে তালিবানের একাংশও এর পিছনে থাকতে পারে মনে করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের চমকানির গুরুদ্বারে গিয়ে জোর করে ‘নিশান সাহিব’ নামিয়ে নিয়েছিল স্থানীয় কিছু তালিবান জঙ্গি। নয়াদিল্লির প্রতিবাদের জেরে ফের তালিবান শীর্ষনেতৃত্বের হস্তক্ষেপে ‘নিশান সাহিব’ ফেরত পায় গুরু নানকের স্মৃতি বিজড়িত ওই গুরুদ্বার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy