যাত্রীদের মদ পরিবেশনে অস্বীকার করায় সাসপেন্ড হলেন এক বিমানসেবিকা। এক মার্কিন বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ওই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে এ বার আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন চারী স্ট্যানলি নামের ওই বিমানসেবিকা। সংশ্লিষ্ট কর্ত়ৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগ আনলেও স্ট্যানলির দাবি, ধমীয় কারণেই উড়ানে মদ পরিবেশন করতে চাননি তিনি।
সূত্রের খবর, গত তিন বছর ধরেই আটলান্টার এক্সপ্রেসজেট এয়ারলাইন্সের বিমানসেবিকা হিসাবে কাজ করছেন স্ট্যানলি। বছর দুয়েক আগে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘উদার’ পরিবেশে যা স্বাভাবিক ঘটনা। অন্তরের সঙ্গে সঙ্গে বহিরঙ্গেও পরিবর্তন আসে তাঁর। ‘হিজাব’ পড়তে শুরু করেন বছর চল্লিশের স্ট্যানলি। পাশাপাশি, নিজের পেশায় থাকতে গেলে তাঁর প্রাত্যহিক কাজকর্মেও বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। অভিযোগ, তা তাঁর নতুন ধর্মের জন্য। বিমানসেবিকা হিসাবে উড়ানের যাত্রীদের মদ পরিবশেন করাটা স্ট্যানলির কাজের অঙ্গ। কিন্তু, ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সে কাজ করতে রাজি ছিলেন না তিনি। ফলে গত জুনে মদ পরিবেশেনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন স্ট্যানলি। সে সময়কার মতো তা মেনেও নেয় সংস্থা। কিন্তু, বিপত্তি বাধে গত অগস্টে। সংস্থারই এক কর্মচারী এ নিয়ে স্ট্যানলির বিরুদ্ধে অভিযোগ (ইন্টার্নাল কমপ্লেন্ট) জানায়। অভিযোগে স্ট্যানলির পোশাক নিয়েও আপত্তি জানান সেই কর্মীচারী। ঘটনার পর ওই বিমানসেবিকাকে বিনা মাইনেয় ১২ মাসের সাসপেনশনে পাঠায় সংস্থা। এর পরই বিষয়টি নিয়ে ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন (ইইওসি)-এ নালিশ করেছেন স্ট্যানলি। কমিশনে স্ট্যানলির আইনজীবীর দাবি, “দেশ জুড়ে ইসলামভীতির এ আর একটি উদাহরণ মাত্র।” আমেরিকায় এ রকম বিদ্বেষমূলক নানা অভিযোগ উঠছে বলে দাবি স্ট্যানলির আইনজীবীর। আগামী ছ’মাসের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে কমিশনকে। আপাতত সেই রায়ের দিকেই তাকিয়ে স্ট্যানলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy