সু চি-কেই আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে সরিয়ে দিল মায়ানমারের বর্তমান সেনা সরকার। ফাইল চিত্র।
বছর পাঁচেক আগে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার অভিযোগ উঠেছিল মায়ানমার সেনার বিরুদ্ধে। আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা অভিযোগের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা শুরু হয় মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক আদালতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন সু চি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কঠোর সমালোচনা সত্ত্বেও নিজের দেশের সেনা কর্তাদের পক্ষে তখন সওয়াল করেছিলেন তিনি। এ বার সেই সু চি-কেই আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে সরিয়ে দিল মায়ানমারের বর্তমান সেনা সরকার।
আজ এই মামলা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল শুনানি ছিল আন্তর্জাতিক আদালতে। জুন্টার বক্তব্য, তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। দ্য হেগ-এর আদালতকে সে কথাই প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে মায়ানমারের সেনা সরকার। কিন্তু তার আগেই আজ সকালে জুন্টা জানিয়ে দেয় সু চি নন, এ বার থেকে আন্তর্জাতিক কোর্টে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন মায়ানমারের বর্তমান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী কো কো লাইং এবং অ্যাটর্নি জেনারেল থিডা উ। সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার জন্য ওই দুই সেনা কর্তার বিরুদ্ধে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে আমেরিকা।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই সু চি-সহ মায়ানমারের সব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি গৃহবন্দি। সু চি-র বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে মায়ানমারের আদালতে। গত বছরেই আইনসভার নির্বাসিত সদস্যেরা মিলে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। ওই সংগঠনের দাবি, জুন্টা নয়, তাদের সদস্যদেরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা উচিত। যদিও সংগঠনটি কোনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও পায়নি। জুন্টাও তাদের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বলে আখ্যা দিয়েছে। বুধবার গাম্বিয়া এই মামলা নিয়ে বক্তব্য পেশ করবে আন্তর্জাতিক আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy