Advertisement
E-Paper

মায়ানমারে সেনার উপর হামলা সুচির সমর্থক সশস্ত্র গোষ্ঠীর, জুন্টার হাতছাড়া বহু এলাকা

বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে সামিল হয়েছে, ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স, ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’-এর মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৬
An image of Aung San Suu Kyi

মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চি। —ফাইল চিত্র।

মায়ানমারে জুন্টা সরকারের সেনার উপর বড় হামলা চালাল মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)। তাদের দোসর সে দেশের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর যৌথমঞ্চ এফএও। গত ৪৮ ঘণ্টায় বিদ্রোহীদের প্রত্যাঘাতে বেশ কয়েকটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেনা। লড়াইয়ে অন্তত ৬২ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি তাইল্যান্ডে নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী সরকারের সাংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’র।

প্রকাশিত খবরে দাবি, সাগাইং, মাগউই ও মান্দালে অঞ্চল এবং কাচিন ও কারেন প্রদেশে এক ডজনেরও বেশি ঘাঁটির দখল হারিয়েছে সেনা। প্রসঙ্গত, মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বর থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’।

বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে সামিল হয়েছে, ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ)-এর মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র সমর্থক পিডিএফের ‘সক্রিয়তা’ জুন্টা সরকারের সমস্যা আরও বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল মায়ানমার সেনা। তিন বছরের সেনা জুন্টার সরকার এই প্রথম এত বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Aung San Suu Kyi Myanmar Myanmar Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy