ফাইল চিত্র।
শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে দৌত্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, চিনের প্রভাব থেকে শ্রীলঙ্কা সরকারকে দূরে রাখতে গত কয়েক বছর যাবতীয় চেষ্টা করে চলেছে ভারত। তা যে সফল হয়েছে এমন নয়। আপাতত সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পুত্র নমল রাজাপক্ষের সঙ্গে সংযোগ বাড়িয়ে, সিংহলি-বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করাই কৌশল কেন্দ্রের।
উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর আম্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রথম উড়ানে বুধবার এখানে এসেছেন নমল। মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পরে নমল টুইট করেন, ‘ভারত থেকে সবচেয়ে বড় যে উপহার শ্রীলঙ্কা পেয়েছে, তা হল বৌদ্ধধর্ম। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্যক দর্শনই দু’দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ করেছে।’ আর মোদীর টুইট, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার বন্ধন ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে। এটা দু’দেশের মানুষের জন্যই ভাল।’
নমল ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন আগামী দিনের শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে। ২০১৯ সালে এই পরিবার ফের ক্ষমতায় ফেরে সিংহলি-বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের ঢেউ তুলে। জয়ের পরে গোতাবায়া স্পষ্ট করে দেন যে, তামিল বা মুসলিমদের ভোট তিনি পাবেন না, বা তার প্রয়োজনও ছিল না। এই পরিস্থিতিতে চিন ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে। তামিল আবেগের বিষয়টিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কেন্দ্রে রেখেও ভারত দ্বিধায় থেকেছে বরাবর। কিন্তু চিনকে সামলাতে এখন তা আপাতত ঝেড়ে ফেলে এগোনোর চেষ্টাই দেখছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy