Advertisement
E-Paper

দুই উদ্দেশ্য নিয়ে মোদী ব্রাজিলে

আজ ভারতীয় সময় গভীর রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা হয়েছে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪৪
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি এএফপি।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি এএফপি।

রাশিয়া এবং চিনের মতো দুই শক্তিধর দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা ভাবে শীর্ষ বৈঠক। আবার ব্রিকসের দেশগুলির সঙ্গে বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী জোট গড়ে তোলা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানো। এই দুই উদ্দেশ্য নিয়ে আজ ব্রাজিলে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আজ ভারতীয় সময় গভীর রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা হয়েছে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে। কিছু দিন আগেই মমল্লপুরমে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন মোদী। এ বার ব্রাজিলেও ফের মুখোমুখি হবেন তাঁরা।

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এ বারের ব্রিকস মোদী কথা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ব্রিকসের প্রতিটি সম্মেলনে গিয়েছেন মোদী। উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বার্থ রক্ষায় ব্রিকস গোষ্ঠীকে কাজে লাগানোর নীতি নিয়ে এগোচ্ছে সাউথ ব্লক। প্রতিরক্ষা থেকে পরমাণু সমঝোতার মতো বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে অংশিদারিত্ব বাড়ানো হচ্ছে। আবার ব্রিকসের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়া, চিনের সঙ্গেও ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছে দিল্লি।

সন্ত্রাসবাদ আটকাতে ব্রিকস-এর দেশগুলিকে এক করার চেষ্টা অগ্রাধিকার পাবে মোদীর কর্মসূচিতে। ব্রিকস-এর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পাঁচটি ছোট গোষ্ঠী গঠন করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থের জোগান বন্ধ করা, জঙ্গিদের ইন্টারনেট ব্যবহার আটকানো, মৌলবাদ নিয়ন্ত্রণ, ভিন্‌ দেশ থেকে আসা জঙ্গি-মোকাবিলার দিকগুলি খতিয়ে দেখবে এগুলি। গত মাসে ব্রিকসের দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার দাবি, ব্রিকসের কর্মসূচিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসা ভারতের সাফল্য। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জিয়ামেন-এর ব্রিকস সম্মেলনে চিনকে সঙ্গে নিয়েই সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয়েছিল ভারত। যদিও ডোকলামের কারণে ভারত-চিন সম্পর্ক তখন যথেষ্ট উত্তপ্ত।

India Brazil Jiar Bolsonaro Narendra Modi BRICS
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy