নরেন্দ্র মোদী ফাইল চিত্র
চিন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান-সহ ৮টি দেশের সংগঠন ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’(এসসিও)-এর দু’দিনের শীর্ষ বৈঠক শুরু হচ্ছে চলতি মাসের ১৬ তারিখ। তার আগে ৯ তারিখ চিন, ভারত-সহ চর্তুদেশীয় অক্ষ ‘ব্রিকস’-এর বৈঠক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এই দু’টি আন্তর্জাতিক মঞ্চকেই ব্যবহার করে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং সন্ত্রাসের প্রশ্নে ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এসসিও বৈঠকে অন্যদের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-ও। তাঁর উপস্থিতিতে সন্ত্রাস নিয়ে মোদীর সম্ভাব্য বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ব্রিকস-ঘোষণাপত্রে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার দিকটিকেও বিশদে রাখার চেষ্টা করবে দিল্লি। তাই চিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জোরালো দৌত্যের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তবে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, কোনও আন্তর্জাতিক বক্তৃতাতেই তালিবানের নাম করবেন না মোদী। পাকিস্তানের তালিবান-যোগ নিয়ে উদ্বেগের কথা এর আগে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কাছে তুলে ধরেছে নয়াদিল্লি। বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যথাক্রমে আমেরিকা এবং ইইউ-র সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদেও। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, বেশির ভাগ শক্তিধর রাষ্ট্র ভারতের এই আশঙ্কাকে ন্যায্য বলেই মনে করছে। কিন্তু আফগানিস্তানে যখন তালিবান সরকার গড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, তখন কোনও গোষ্ঠীর নাম না-করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাউথ ব্লক।
আন্তর্জাতিক স্তরে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি ঘরেও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ তাঁর বাসভবনে কাবুল নিয়ে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তানের ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রেখে ভারতের অগ্রাধিকার তৈরি করা এবং বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নের জন্য উচ্চ পর্যায়ের গোষ্ঠী তৈরি করেছেন। সেখানে রয়েছেন ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ আরও কিছু শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্তা। বৈঠকে ওই গোষ্ঠীর কাজ নিয়েও কথা হয়। মূলত সে দেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনাই অগ্রাধিকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy