একান্তে: হোয়াইট হাউসের বারান্দায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
সশস্ত্র ড্রোন থেকে ৫জি টেলিকম প্রযুক্তি। ভারতের আর্থিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমেরিকান লগ্নি টানার লক্ষ্যে সে দেশের বেশ কয়েক জন শীর্ষ শিল্পপতির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে একের পর এক সংস্থার সিইও-র সঙ্গে আলাদা-আলাদা ভাবে আলোচনায় বসেন মোদী। ছিলেন মোবাইল পরিষেবা প্রযুক্তি সংস্থা কোয়ালকম গোষ্ঠীর প্রধান ক্রিস্টিয়ানো আর আমন, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অ্যাডোবের চেয়ারম্যান শান্তনু নারায়ণ, সশস্ত্র ড্রোন নির্মাতা জেনারেল অ্যাটোমিক্সের বিবেক লাল, অপ্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদক ফার্স্ট সোলারের সিইও মার্ক উইডমার, লগ্নি সংস্থা ব্ল্যাকস্টোন গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্টের স্টিফেন এ সোয়ার্জম্যান প্রমুখ। এঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে বৈঠকের ছবি টুইট করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সূত্রের খবর, সকলের জন্য ৫জি প্রযুক্তির ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট পরিষেবার সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। পিএমও-র দাবি, কোয়ালকম ভারতের বাজারে আগ্রহী। তেমনই ভারতের সাম্প্রতিক ড্রোন-নীতিতে সংস্কারে তারা উৎসাহিত বলে জানিয়েছে জেনারেল অ্যাটোমিক্স। অ্যাডোবের দাবি, ভারতে লগ্নিই তাদের ‘গোপন অস্ত্র’। ফার্স্ট সোলারের বিবৃতি, জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে, ভারত যা করছে, তা অনুসরণ করা উচিত বাকি বিশ্বেরও। আর ব্ল্যাকস্টোনের দাবি, বিশ্বে সেরা বিনিয়োগের
বাজার ভারতই। পরে প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ‘‘শিল্পপতি ও সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করলাম। আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক দু’দেশের নাগরিকদের পক্ষেই লাভজনক হবে।’’
বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, ভারতের বিশাল বাজারের জন্য এমন প্রশস্তি বহুজাতিক সংস্থাগুলির মুখে শোনা যায়। কিন্তু গত কয়েক বছরে কল-কারখানা তৈরিতে মোটা বিদেশি বিনিয়োগের দেখা কোথায়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy