আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তকমা খোয়ালো নাসা! প্রথমে নাসার জন্য সরকারি অর্থবরাদ্দ কমানো হল। এ বার পরিচয়েও কোপ। সমালোচকদের ক্ষোভ, আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কিন্তু চাঁদে যেতে চান, মঙ্গলের মাটি ছুঁতে চান! অথচ মূল স্বীকৃতিটুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
নতুন সরকারি নির্দেশিকাটি জারি হয়েছে গত মাসের শেষে। তাতে বলা হয়েছে, খাতায়কলমে জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা হিসেবে কাজ করবে নাসা। তাদের প্রাথমিক কাজের মধ্যে পড়বে, ‘গুপ্তচরবৃত্তি’, ‘পাল্টা-গুপ্তচরবৃত্তি’, ‘তদন্ত’, ‘জাতীয় নিরাপত্তা’। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি স্পেসক্রাফ্ট বা মহাকাশযান তৈরির বদলে নাসা এ বার ‘স্পাইক্রাফ্ট’ তৈরি করবে? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নতুন নির্দেশিকায় নাসা-র কী কাজ হবে, তার থেকেও বেশি চিন্তার শ্রমিক-নীতি। কারণ নির্দেশিকাটিতে জানানো হয়েছে, ‘ফেডেরাল সার্ভিস লেবার-ম্যানেজমেন্ট রিলেশনস স্ট্যাচুট’ থেকে নাসাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই বদলের অর্থ নাসার পরিচয় বদলে দেওয়ার পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট কর্মী সংগঠন গড়ার অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন। এতে একরকম ভয়ে নাসার কর্মীরা।
নাসার গডার্ড সেন্টারের ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিকর্মীদের নিয়ে তৈরি সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা গরম্যান বলেন, ‘‘আমি ও আমার সহকর্মীরা যে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারি, তার অন্যতম কারণ ইউনিয়ন-স্বীকৃত কর্মী হিসেবে যে কোনও ধরনের আপত্তিকর পরিস্থিতিতে আমাদের যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে।’’ ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে নাসা-র সদর দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)