রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এ ধরনের সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে ‘বড় যুদ্ধের’ প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা দিল নেটো!
আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের প্রধান মার্ক রুট শুক্রবার বলেছেন, ‘‘আমরাই রাশিয়ার পরবর্তী নিশানা এবং আমরা ইতিমধ্যেই সঙ্কটে রয়েছি। রাশিয়া ইউরোপে আবার যুদ্ধের আবহ ফিরিয়ে এনেছে। আর আমাদের সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যে যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিলেন আমাদের পিতামহ-প্রপিতামহেরা।’’ এ ক্ষেত্রে কার্যত ট্রাম্পের সুরেই বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি। রুট জানিয়েছেন, রাশিয়া আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নেটো ভূখণ্ডে (অর্থাৎ পশ্চিম ইউরোপে) বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। সম্ভাব্য রুশ হামলার মোকাবিলায় নেটোর সদস্য দেশগুলি ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির পাঁচ শতাংশে উন্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে কিভ সফর করেন মার্কিন আর্মি সেক্রেটারি ড্যান ড্রিসকল। পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে ট্রাম্পের তৈরি করা ২৮ দফা শান্তিপ্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় তাঁর। সরকারি ভাবে ওই শান্তিপ্রস্তাব নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। তবে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানায়, ট্রাম্পের তৈরি করা শান্তি সমঝোতায় রুশ অধিকৃত এলাকা ফিরে পাওয়ার আশা ইউক্রেনকে ছাড়তে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ফৌজের আকার ছোট করতে হবে কিভকে। এ ছাড়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় সামরিক জোট নেটোর কোনও সৈনিক দেশের মাটিতে রাখতে পারবেন না জ়েলেনস্কি। কিন্তু সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ফলে যুদ্ধবিরতির কোনও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।