ছবি: এএফপি।
পদচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানায় রেখে ডেথ ওভারে নামলেন তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। কেন ‘অযোগ্য’ নওয়াজ শরিফ— রবিবার রাওয়ালপিন্ডির সমাবেশে দলের কর্মী-সমর্থকদের তা বোঝাতে গিয়ে ইমরান বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর ভাষায় কথা বলতেন নওয়াজ। পাক সেনাকে এমন ভর্ৎসনা করতেন, যেন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী!’’ প্রয়োজনে নওয়াজ শত্রুর সঙ্গে হাত মেলাতেও পিছপা হতেন না বলে সেখানে দাবি করেন ইমরান।
পানামা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয়, ইমরান নিজেও নওয়াজের ইস্তফা দাবি করে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন। যে যৌথ দলের তদন্তের ভিত্তিতে নওয়াজ ক্ষমতাচ্যুত হলেন, তাতে ইমরান-ঘনিষ্ঠের সংখ্যা কম নয়। নওয়াজ-বিদায়কে অনেকে ‘বিচারবিভাগীয় অভ্যুত্থান’ বললেও, ইমরান বিষয়টিকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছেন। মুখে বলছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জয়’। সেই জয় উদ্যাপন করতেই ছিল সমাবেশ।
বছরখানেক আগে প্রকাশিত একটি খবরকে হাতিয়ার করে সেই মঞ্চেই ইমরান একহাত নেন নওয়াজকে। প্রতিবেদনে ছিল, জঙ্গিনিধনে গাফিলতির অভিযোগে সেনাকে ভর্ৎসনা করেন নওয়াজ। ইমরানের আপত্তি সেখানেই। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও নেতা যে তাঁর সেনাবাহিনীকে এ ভাবে অপমান করতে পারেন, আমার ধারণা ছিল না। মোদীর সঙ্গে তা হলে শরিফের পার্থক্যটা কী হলো!’’
বিদেশি লগ্নি মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধেও মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ইমরানের বিরুদ্ধেও দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পত্তি রাখার অভিযোগ রয়েছে। ইমরানের যদিও দাবি, তাঁর হলফনামায় কোনও কারচুপি পাওয়া গেলে সেই মুহূর্তে পদত্যাগ করবেন।
এমনিতে পার্লামেন্টে শরিফের দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের প্রার্থী প্রাক্তন মন্ত্রী শাহিদ আব্বাসিই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। আব্বাসির নামেও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ইমরান। উত্তরে আব্বাসি বলছেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান গেজেটে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy