নেপালের বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। ৭৬ জনকে নিয়ে বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে উড়েছিল। কিন্তু আচমকা তার ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। দ্রুত ওই বিমানটিকে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়। বিশেষ অবতরণ করান পাইলট। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত আছেন বলেই জানিয়েছে বিমান সংস্থা। তাঁদের অন্য বিমানে গন্তব্যে পৌঁছনোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে সোমবার সকালে যাত্রা শুরু করে বুদ্ধ এয়ারের ৯৫৩ নম্বর ফ্লাইট। গন্তব্য ছিল ভদ্রপুর। ১১.১৫ নাগাদ বিমানটিকে আবার ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামানো হয়। বিমান সংস্থা সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটির জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন পাইলট। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়েছিল। মাটি ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আগুন দেখতে পান পাইলট। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিমানটি কাঠমান্ডুতে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন।
বিশেষ ‘ভিওআর’ পদ্ধতিতে বিমান অবতরণ করিয়েছেন পাইলট। ভিওআর পদ্ধতির পুরো কথা হল ‘ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি অমনিডিরেকশনাল রেঞ্জ’। বিমান অবতরণের সময়ে কোনও কারণে পাইলটের চোখের সামনের দৃশ্য আবছা হয়ে গেলে তিনি এই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে থাকেন। নীচে বিমানবন্দরেই এই ধরনের অবতরণের জন্য থাকে একটি করে রেডিয়ো স্টেশন। দৃশ্যমানতা কমে গেলে সেখান থেকে পাওয়া সিগন্যালের উপর ভরসা রাখেন চালক। এ ক্ষেত্রেও তা-ই করা হয়েছে। আগুনের কারণে বিমানের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বার হচ্ছিল। ফলে চালক ভাল করে রানওয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন না। ভিওআর পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে তিনি বিমান অবতরণ করিয়েছেন। এড়ানো গিয়েছে বড় দুর্ঘটনা।