—ফাইল চিত্র।Mount Everest
নিজের দেশেই রয়েছে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাধারী এভারেস্ট। পৃথিবীর আরও ১৪টি আট হাজারি শৃঙ্গ রয়েছে নেপালে। যদিও কোনও দিনই পৃথিবীর সব থেকে উঁচু শিখরের মাপজোক করে দেখা হয়নি তাদের। ১৯৫৪ সালে ভারতের নির্ধারিত ৮৮৪৮ মিটার (২৯০২৮ ফুট) উচ্চতাই তারা মেনে চলত এত দিন। এভারেস্টের উচ্চতা নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, এ বার তার মাপজোক করতে চলেছে তারই দেশ।
নেপাল ও চিনের সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত এভারেস্ট। ২০০৫ সালে চিনা পর্বতারোহী ও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৪ মিটার। ১৯৯৯ সালে অবশ্য ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি’ এবং ‘বস্টন মিউজিয়াম অব সায়েন্স’ কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বিশেষ প্রযুক্তিতে মেপে দেখেছিল ৮৮৫০ মিটার। বহু দেশের পর্বতারোহীই এখনও তাদের হিসেব মেনে চলেন। যদিও ২০১৫ সালে ৭.৮ তীব্রতার ভূমিকম্পের পর থেকে বিতর্ক দানা বাঁধে। অনেকেই দাবি করেন, এভারেস্টের উচ্চতা আর ৮৮৪৮ মিটার নেই। বিখ্যাত ‘হিলারি স্টেপ’ও আর নেই। ভূমিকম্পে ধসে গিয়েছে পর্বতের ওই অংশ। বদলে গিয়েছে এভারেস্টের চেহারাই। এ সবের উত্তর খুঁজতেই সমীক্ষায় নামছে নেপাল।
নেপালের সমীক্ষা দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল গণেশপ্রসাদ ভাট্টা জানিয়েছেন, বিতর্ক থামাতে আগামী বছরই অভিযানে নামবে নেপাল। তিনি বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সাহায্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানের পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে সঠিক উচ্চতা জানা যায় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এই উচ্চতার স্বীকৃতি মেলে।’’ তাঁর আক্ষেপ, নেপালের কাছে জিপিএস, গ্র্যাভিমিটারের মতো যন্ত্রের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি জোগাড় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সমীক্ষা দফতরের আর এক কর্তা অনিল মারাসিনির কথায়, ‘‘পাহাড়ের আবহাওয়া অনুকূল থাকলে, সামনের গরমেই শুরু করে দেওয়া হবে কাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy