Advertisement
E-Paper

নতুন ইতিহাসের খোঁজ মিলল মিশরের সাকারায়

হাবাস জানিয়েছেন, খননস্থল থেকে কাঠের কফিন ছাড়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এক সৈন্যের কুঠার।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ২২:১৬
সাকারা-র খননস্থল। ছবি: সংগৃহীত।

সাকারা-র খননস্থল। ছবি: সংগৃহীত।

মিশরের রাজধানী কায়রোর কাছে সাকারায় মাটি খুঁড়তেই উঠে এল প্রাচীন ইতিহাস। মিশরের প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাবাসের মতে, এই আবিষ্কারের ফলে নতুন করে রচিত হবে সাকারা-র ইতিহাস।

সাকারা কায়রোর একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থল। ইউনেস্কো-র হেরিটেজ সাইট। এখানে রয়েছে প্রচুর পিরামিড, প্রাচীন মনাস্ট্রি এবং পশুদের প্রাচীন কবরস্থল। হাবাস জানিয়েছেন, খননকার্যের সময় এখান থেকে ৩ হাজার বছরের পুরনো ৫০টি কাঠের কফিন উদ্ধার হয়েছে। এই আবিষ্কারই নতুন একটা যুগের সন্ধান দেবে বলে ধারণা হাবাসের।

হাবাস জানিয়েছেন, খননস্থল থেকে কাঠের কফিন ছাড়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এক সৈন্যের কুঠার। যা তাঁর কবরের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়াও মিলেছে একটা কাঠের কফিন। এটা খুব বিরল একটা আবিষ্কার। কারণ এই খননস্থল থেকে যে সব সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে তা ১৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে। ফলে ওই সময় সাকারাতে কোনও নতুন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কি না, তা এই আবিষ্কারের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন হাবাস। তিনি বলেন, “এখনও আবিষ্কারের ৭০ শতাংশ বাকি।’’

সম্প্রতি এই সাকারা থেকে আরও অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ফ্যারাও তেতি-র স্ত্রী রানি নিয়ারিতের স্মরণে তৈরি একটি মন্দির। তবে ১৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ সময়কার আবিষ্কার সাকারা-র নতুন ইতিহাস রচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এই খননকাজের সঙ্গে জড়িত প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

Egypt Saqqara
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy