প্রতীকী ছবি।
সোমবার করোনা সংক্রমণ নিয়ে জোড়া দুঃসংবাদ পেলেন বাংলাদেশের মানুষ। এ দিন সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা সংক্রমণ শনাক্ত এবং মৃত্যু নতুন রেকর্ড ছুঁল। আবার বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা কমিটির সুপারিশ মেনে এ দিনই বাংলাদেশ সরকার কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। আপাতত মঙ্গলবার পর্যন্ত এই কঠোর লকডাউন চলার কথা ছিল। সরকার ঘোষণা করেছে, ১৪ জুলাই পর্যন্ত তা বলবৎ থাকছে। উপযুক্ত কারণ ছাড়া রাস্তায় বেরোনোয় রবিবার পর্যন্ত ঢাকায় কমপক্ষে ২,৫০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘোষণা করেছে— গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ৯,৯৬৪ জনের দেহে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, করোনার কারণে মারা গিয়েছেন ১৬৪ জন। গত বছর মার্চে দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে এক দিনে এত সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। গত এক সপ্তাহ ধরেই প্রতিদিন ১০০-র বেশি মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছিলেন। এ দিনের মৃত্যুর সংখ্যা নতুন রেকর্ড ছুঁল। রবিবারই করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছিল। তার চেয়েও আশঙ্কার কথা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাসচিব এ বি এম খুরশিদ আলম জানিয়েছেন— করোনার সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে। শহরের পাশাপাশি সংক্রমণ এখন গ্রামে ছড়াচ্ছে। হাসপাতালে আসা করোনা রোগীদের ৫০%-ই গ্রামের। বাংলাদেশের গ্রামে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা খুবই অপ্রতুল। অক্সিজেন, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের অভাব। তার মধ্যে বাড়াবাড়ি না হলে গ্রামের মানুষ চিকিৎসার কথা ভাবেন না। আগামী দিনে তাই বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।
লকডাউনে শহরের দিনমজুর, ফেরিওয়ালা, রিকশাওয়ালারা জীবিকা ও আশ্রয়ের সঙ্কটে পড়েছেন। গ্রামে ফেরার চেষ্টা করায় রবিবারও ৬১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy