Advertisement
E-Paper

নিষেধ চাপালে ‘অন্য পথ’, আমেরিকাকে হুমকি কিমের

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটতে তাঁর দেশ এখনও বদ্ধপরিকর— নতুন বছরের বার্ষিক বক্তৃতায় এমনটাই জানালেন উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম জং উন। কিন্তু পাশাপাশি আমেরিকার দিকে কিমের হুঁশিয়ারিও রইল পূর্ণ মাত্রায়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৮
কিম জং উন। ছবি: পিটিআই।

কিম জং উন। ছবি: পিটিআই।

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটতে তাঁর দেশ এখনও বদ্ধপরিকর— নতুন বছরের বার্ষিক বক্তৃতায় এমনটাই জানালেন উত্তর কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম জং উন। কিন্তু পাশাপাশি আমেরিকার দিকে কিমের হুঁশিয়ারিও রইল পূর্ণ মাত্রায়। এই শাসকের সাফ কথা, আমেরিকা যদি পিয়ংইয়্যাংয়ের উপরে একতরফা দাবির বোঝা চাপিয়ে যায়, তা হলে ‘কোনও নতুন পথে’ এগোতে হবে উত্তর কোরিয়াকে। তবে নতুন পথটা কী ধরনের হবে, সে সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেননি কিম।

তিরিশ মিনিটের বক্তৃতায় চেয়াম্যান জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের ‘দ্রুত গতিতে’ উন্নতি হতে পারে যদি মার্কিন প্রশাসন ‘আদানপ্রদান’-এ ভরসা রাখে। এই সূত্রেই তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে

তিনি ফের দেখা করতে চান। কিমের কথায়, ‘‘আমি এমন একটা ফলাফলের দিকে এগোতে চাই যাকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বাগত জানানো হবে।’’ বিশদে কিমের বক্তব্য, ‘‘আমেরিকা যেন আমাদের জনতার ধৈর্য দেখে ভুল ধারণার বশবর্তী না হয়। ওরা যদি একতরফা দাবি, নিষেধাজ্ঞা, চাপ তৈরির পথেই চলে, তা হলে আমাদের কাছে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই একমাত্র গুরুত্ব পাবে। আমাদের উপদ্বীপে শান্তি বজায় রাখতে নতুন পথে চলতে হবে।’’

কিমের এই বক্তৃতার মূল শ্রোতা তাঁর দেশের মানুষ। পিয়ংইয়্যাং আগামী এক বছরে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেবে, তা নিয়ে প্রতি বছরে বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান। থাকে অসংখ্য নিষেধের নির্দেশ। কিন্তু এ বার তাঁর বক্তৃতার ধরন অতীতের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। বাবা আর দাদুর ছবি পাশে নিয়ে ‘অন্য রকম’ কিমকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে বলে মনে করছে সোলের সংবাদমাধ্যম।

সেখানে অনেকটাই জুড়ে ছিলেন ট্রাম্প আর তাঁর দেশ। তাই কিম কী বলেন, সে দিকে নজর ছিল সবারই। সিঙ্গাপুরে গত বছর জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক ও ইতিবাচক আলোচনার পরে দুই রাষ্ট্রনেতাই ফের বৈঠকে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু পিয়ংইয়্যাং আর ওয়াশিংটনের প্রশাসনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনও চলছে। এবং কিম-ট্রাম্পের সাক্ষাতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ভাসা-ভাসা কথাবার্তা হয়েছিল বলেই বিশ্লেষকদের দাবি। তা সত্ত্বেও প্রতিবারের মতো কিমের মুখে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হুমকি ছিল না, উল্টে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দায়বদ্ধতার কথাই শোনা গিয়েছে। ছিল প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মসৃণ করার বার্তাও।

সাংবাদিকদের মতে, কিম ২০১৮ সালকে ‘গতিময়’ বছর হিসেবে দেখেছেন। সেই গতি ২০১৯-এও বজায় রাখতে চান তিনি।

North Korea Donald Trump Economic Sanction
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy