Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সফরের শুরুতেই বিড়ম্বনা, ইমরানের অভ্যর্থনাই করল না মার্কিন প্রশাসন

অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা আমেরিকায় গেলে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। কিন্তু ইমরানের কাছে তেমন কিছুই দেখা যায়নি।

ওয়াশিংটন ডিসি-র ডালাস বিমানবন্দরে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোশ্যাল মিডিয়া

ওয়াশিংটন ডিসি-র ডালাস বিমানবন্দরে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোশ্যাল মিডিয়া

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৩
Share: Save:

আমেরিকা সফরের শুরুতে বিড়ম্বনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিন দিনের সফরে গত কাল আমেরিকা পৌঁছন তিনি। কিন্তু বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন না মার্কিন প্রশাসনের কোনও আধিকারিক। এর আগে কোনও রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে এমন কোনও আচরণ করা হয়েছে কি না তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই।

অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা আমেরিকায় গেলে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ)। কিন্তু ইমরানের কাছে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। পাকিস্তানের প্রধান শাসক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাদের টুইটার হ্যান্ডলে যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ইমরানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং সেখানের পাক দূতাবাসের কয়েক জন কর্মী। এনএসএ বা পাক দূতাবাসের গাড়িতে নয় বরং টিকিট কেটে মেট্রো করে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ইমরান। খরচ বাঁচাতে পাক প্রধানমন্ত্রী কাতার এয়ারওয়েজের সাধারণ যাত্রিবাহী বিমানে আমেরিকায় যান এবং সেখানে তিনি কোনও হোটেলে থাকছেন না, পাক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খানের বাড়িতে থাকবেন বলে ঠিক করেছেন।

হোয়াইট হাউসে আগামিকাল ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ইমরানের। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটনের সম্পর্কের অবনতি হয়। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান ব্যর্থ, এমনকি, জঙ্গিদের মদতের অভিযোগে, অনুদান কাঁটছাট করেছে আমেরিকা। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান তাঁদের ‘মিথ্যে বলেছে’। কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, পাক মাটিতে জঙ্গি সংগঠনগুলির তৎপরতা নিয়ে ইমরানের উপর চাপ বাড়াতে পারে মার্কিন প্রশাসন। সম্প্রতি জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ় সইদকে গ্রেফতার করেছে ইমরান প্রশাসন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাঁর সরকার কঠোর পদক্ষেপের সেই উদাহরণও দিতে পারেন ইমরান। এ ছাড়া আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় ইসলামাবাদের ভূমিকাও তুলে ধরতে পারেন ইমরান। এই সফরে তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআই প্রধান ফইজ় হামিদ।

আমেরিকা সফরে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেভিড লিপ্টন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন ইমরান। দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে আইএমএফের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছে ইসলামাবাদ। তাতে আপত্তি জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Imran Khan US Donald Trump
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE