চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং কিম জং উন। —ফাইল চিত্র।
হাজির কিম জং উন! এই নিয়ে চতুর্থ বার।
চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের আমন্ত্রণে সস্ত্রীক তিনি বেজিং পৌঁছে যাওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর আসে। উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থার দাবি, তিন দিন বেজিংয়ে থেকে শি-র সঙ্গে বৈঠক করবেন চেয়ারম্যান কিম। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফের কিমের বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে। তার আগেই শি-এর দেশে পৌঁছলেন কিম। ঘটনাচক্রে গত বছর জুন মাসে কিম-ট্রাম্প ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠকের আগে এবং পরেও কিম চিন সফরে এসেছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থার দাবি, সোমবার বিকেলে ব্যক্তিগত ট্রেনে স্ত্রী রি সল জু এবং শীর্ষ স্তরের বেশ কয়েক জন অফিসারের সঙ্গে বেজিংয়ে রওনা দেন কিম। মঙ্গলবার সকালে বেজিংয়ের কাছে সীমান্ত শহর ডানডংয়ের স্টেশন থেকে পুলিশে ঘেরা একটি কনভয় বেরোতে দেখা যায়। চিনা পুলিশ সেই সময়ে ওই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার অন্যতম বন্ধু দেশ চিন ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাহায্যের ক্ষেত্রেও তাদের বড় ভরসা। এক সপ্তাহ আগেই আমেরিকার উদ্দেশে হুমকি দেন কিম। বলেছিলেন, তাঁদের উপরে আমেরিকা একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপালে ‘অন্য পথে’ হাঁটতে হবে উত্তর কোরিয়াকে। তাই এ বার কী ধরনের আলোচনা হয় শি ও কিমের মধ্যে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে বিশ্বের। কারণ কিম তাঁর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপের আগে বা পরে বেজিং আসছেন।
এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘কিম তাঁর যে কোনও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় শি-কে শামিল করতে চান। আর চিন স্বভাবতই আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যা হচ্ছে, তার পুরোভাগে থাকতে চায়।’’ আর কিমও ভালই জানেন, আমেরিকা ও চিনের বাণিজ্য সংক্রান্ত টানাপড়েনকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে লাভবান হওয়া যায়। এই সফরের মধ্যে আজ আবার উত্তর কোরিয়ার শাসকের জন্মদিন। কিমের দেশের সংবাদ সংস্থার দাবি, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ স্তরের অনেক অফিসার, সরকার এবং সশস্ত্র বাহিনীর তরফে স্টেশনেই শুভেচ্ছা জানানো হয় চেয়ারম্যানকে। সব মিলিয়ে কিমের এই সফর আমেরিকাকেও বার্তা দেওয়া বলে মত বিশ্লেষকদের। ট্রাম্প প্রশাসনকে কিম বোঝাতে চান, ওয়াশিংটন আর সোলের বাইরেও তাঁর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভরসার জায়গা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy