—প্রতীকী ছবি।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানে নেমেছে ইরান। আর্থিক কেলেঙ্কারি, প্রতারণা বা দুর্নীতির মামলায় ধরা পড়লে সেখানে আর ছোটোখাটো সাজা নয়, মিলছে একেবারে মৃত্যুদণ্ড। এ বার প্রতারণার দায়ে হামিদরেজা বাকেরি দারমানি নামে দেশের অন্যতম এক বড় শিল্পপতিকে আজ প্রকাশ্যে ফাঁসি দিল ইরান।
এলাকায় ‘সুলতান অব বিটুমেন’ বলে পরিচিত ছিলেন হামিদরেজা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তৈল ও তৈলজাত পণ্য চোরাচালান ও প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পরে হামিদরেজাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ইরানের একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। এ মাসেই আদালতের সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
এ দিন ইরানে হামিদরেজাকে ফাঁসি দেওয়ার ঘটনা স্থানীয় সরকারি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। ফাঁসির ঘটনার নেপথ্যে অ্যাকশন ফিল্মের সাউন্ডট্র্যাক বাজানো হয়। সম্প্রচার করা হয় হামিদরেজার অপরাধ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র। স্থাবর সম্পত্তির ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বহু টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগে ২০১৪-র অগস্টে প্রথম বার গ্রেফতার করা হয় হামিদরেজাকে। পরে ভুয়ো সংস্থাগুলিকে সামনে রেখে জালিয়াতি করে অন্তত তিরিশ হাজার টন বিটুমেন সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, মৃত্যুদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আর এক আসামি শিল্পপতি বাবাক মর্তেজা জ়ানজানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারি ক্ষেত্রে আসা আন্তর্জাতিক অনুমোদনের ২৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় বাবাক। এখন সে ফাঁসির আসামি।
সম্প্রতি ইরান জুড়ে দুর্নীতি দমন অভিযান শুরু হয়েছে। হামিদরেজা তৃতীয় ব্যবসায়ী, যার দুর্নীতির অভিযোগে ফাঁসি হল। গত নভেম্বরে দুর্নীতি মামলায় আরও দুই ব্যবসায়ীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে তেহরান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy