রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাতের অবসান কবে ঘটবে? আদৌ শান্তি ফিরবে? এ নিয়ে দুই দেশের মানুষ তো বটেই বিশ্বের বড় একটি অংশ এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। বার বার বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। তবে সংঘাতের অবসান নিয়ে এ বার আশা প্রকাশ করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এয়ারডোয়ান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘‘শান্তি আর বেশি দূরে নেই!’’
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থামাতে বার বারই মধ্যস্থতার ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করেছে তুরস্ক। সেই তালিকায় আছে আমেরিকাও। দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থামাবেনই! কিন্তু প্রায় ১১ মাস কেটে গেলেও এখনও সংঘাতের অবসান হয়নি। দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বার বার বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। এমনকি শান্তিপ্রস্তাব দিয়েছেন, তার পরেও রফাসূত্র অধরা। কোনও পক্ষই নিজেদের দাবি থেকে সরতে নারাজ।
সেই আবহে এ বার তুর্কমেনিস্তানে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক সারলেন এয়ারডোয়ান। সেই বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠক শেষে এয়ারডোয়ান জানান, অচিরেই সংঘাত থামবে। ফিরবে শান্তি। পাশাপাশি শান্তিপ্রস্তাব নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছেন এয়ারডোয়ান।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাত নিয়ে নিজের হতাশার কথা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি জানান, গত মাসেই এই সংঘাতে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সেনা। ক্রমাগত এই রক্তপাতে হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অবিলম্বে এই যুদ্ধ বা শত্রুতা বন্ধ করার কথাও বলেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘আমি দেখতে চাই এই হত্যালীলা বন্ধ হোক। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’’ তিনি মনে করেন, এই সংঘাত বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে কিভ সফর করেন মার্কিন স্থলবাহিনীর সচিব (আর্মি সেক্রেটারি) ড্যান ড্রিসকল। পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে ট্রাম্পের তৈরি করা ২৮ দফা শান্তিপ্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় তাঁর। তবে সেই প্রস্তাবে রাজি নন জ়েলেনস্কি!