ওমান উপসাগরে একটি তেলের ট্যাঙ্কার আটক করল ইরান। তাদের দাবি, ৬০ লক্ষ লিটার ডিজেল রয়েছে জাহাজে। সেই জ্বালানি বেআইনি ভাবে পাচার করা হচ্ছিল। সংবাদ সংস্থা এএফপি বলছে, জাহাজে সওয়ার ১৮ জন নাবিক ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানের দক্ষিণ হরমোজ়গান প্রদেশের এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, জাহাজটি ধরা পড়ার আগেই সেটির দিক নির্দেশক ব্যবস্থা (নেভিগেশন সিস্টেম) বিকল করে দেওয়া হয়। ইরান এর নেপথ্যে চোরাচালানকেই দুষেছে। সে দেশে জ্বালানি তেল খুব সস্তা। তাই সেখান থেকে তেল পাচার করলে লাভ হয় অনেক বেশি।
গত মাসেও এ ভাবেই একটি তেলবাহী জাহাজ সাগরে আটক করেছিল ইরান। তাদের দাবি, ওই জাহাজেও বেআইনি ভাবে তেল পাচারের চেষ্টা চলছিল। কোন দেশে সেই তেল পাচারের চেষ্টা চলছিল, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি তারা। প্রসঙ্গত, পশ্চিম এশিয়ার ওমান উপসাগর এলাকায় সমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজকে নিশানা করার অভিযোগ অতীতেও উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। ইরানের বাহিনী দাবি করেছে, সে দেশের জাতীয় স্বার্থের জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়। ২০১৯ সালে একটি বাণিজ্য তরী লক্ষ্য করে মাইন ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল ইরানের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে একই ধরনের ঘটনায় দুই নাবিকের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ এবং ২০২৪ সালে একটি গ্রিক এবং একটি পর্তুগিজ জাহাজকে আটক করা হয়েছিল।