আত্মরক্ষা করতে জানে পাকিস্তান! ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনার আবহে এমনটাই দাবি করলেন সে দেশের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। কেবল তা-ই নয়, পাক সেনাপ্রধানের মুখে ফের উঠে এসেছে দ্বিজাতি তত্ত্বের কথাও।
শনিবার পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্যারেডে যোগ দিয়েছিলেন মুনির। সেখানে তিনি দ্বিজাতি তত্ত্ব তুলে ধরে জানান, হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে ফারাক রয়েছে। পাকিস্তানের অস্তিত্ব এবং পরিচয় এই তত্ত্বের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের উদ্দেশ্যে কায়েদ-ই-আজ়ম মহম্মদ আলি জিন্না দ্বিজাতি তত্ত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন। গত সপ্তাহেই পাক সেনাপ্রধান ওই তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষেরা ভাবতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আমাদের রীতিনীতি, ঐতিহ্য, চিন্তাভাবনা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা পৃথক। এটিই ছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি।’’ একই দিনে কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলে মুনির বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ইসলামাবাদের গলার শিরা। তাই পাকিস্তানিরা কখনও তাকে ভুলতে পারবে না।’’ ঘটনাচক্রে তাঁর ওই মন্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তাই মুনিরের ওই মন্তব্যকে হিংসায় উস্কানি হিসাবেই দেখছেন ভারতের গোয়েন্দা কর্তারা।
আরও পড়ুন:
শনিবারের বক্তব্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেন পাক সেনাপ্রধান। বলেন, ‘‘ভারতের সংবাদমাধ্যম এবং গণমাধ্যম পাকিস্তান তৈরির ইতিহাসকে মুছে দিতে বা পাল্টে দিতে পারবে না’’। দেশ বাঁচাতে পাকিস্তানের সব নাগরিক একজোট বলে ঐক্যের বার্তাও দেন তিনি। এই সূত্রেই মুনির হুঁশিয়ারির সুরে জানান, বাইরে থেকে যতই হুমকি দেওয়া হোক, পাকিস্তান নিজেকে রক্ষা করতে জানে। প্রসঙ্গত, পাক সেনাপ্রধানের আগে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও প্রায় একই সুরে বলেছিলেন, ‘‘আমরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।’’