চিনের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কিনছে পাকিস্তান।
ইন্দো-রুশ এস-৪০০ মিসাইল চুক্তির পরই এবার ‘মিত্র’ চিনের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কিনছে পাকিস্তান। সম্পূর্ণ হলে এটাই হবে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি। ৪৮টি উইং লুং-২ ড্রোন ইসলামাবাদকে বিক্রির কথা সরকারি ভাবে জানিয়েছে বেজিং। চুক্তি চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করেছে পাক বায়ুসেনাও।
পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের ‘শেরডিল অ্যাক্রোব্যাটিক টিম’ তাদের সরকারি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রবিবার ঘোষণা করা হয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ড্রোন কেনার চুক্তি চূড়ান্ত। তবে কী পরিমাণ অর্থে ড্রোনগুলি কেনা হচ্ছে, সে বিষয়ে বেজিং বা ইসলামাবাদের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি, চিন কবে সরবরাহ করবে বা ইসলামাবাদ কবে হাতে পাবে, তাও স্পষ্ট করা হয়নি। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, বায়ুসেনার অ্যাক্রোব্যাটিক টিম ও চিনের শেংডু এয়ারক্র্যাফট ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ ভবিষ্যতে যৌথভাবে এই ড্রোনগুলি তৈরি করবে।
অন্যদিকে, কবে চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে সে বিষয়ে ওই ড্রোন প্রস্তুতকারী সংস্থা শেংডু এয়ারক্র্যাফট ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া নিউজ আগেই একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসেই উইং লু-২ ড্রোনের উড়ান এবং পরীক্ষা সফল হয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই দাবি করা হয়, সফল উড়ানের আগেই বিভিন্ন দেশ থেকে বরাত পেয়েছে সংস্থা। যদিও তখন পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ভিলাইয়ের স্টিল প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, গ্যাস পাইপ ফেটে মৃত অন্তত ৬
বেজিং বরাবরই যে কোনও পরিস্থিতিতেই ইসলামাবাদের বন্ধু। পাক সেনার সামরিক অস্ত্রশস্ত্রের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা চিন। সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্টের সফরে ভারত-রুশ এস-৪০০ মিসাইল চুক্তি হয়। তার পরই পাকিস্তানের এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মসের তথ্য পাচার আইএসআই-কে! গ্রেফতার প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার
চিনের শেংডু এয়ারক্র্যাফট ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের তৈরি এই ড্রোনগুলি অত্যন্ত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন। একই সঙ্গে স্থির, গতিশীল বা সময় নির্ধারিত করে দেওয়া লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy