কুলভূষণ যাদবকে ‘শিখণ্ডী’ করে আজ নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। ছবি: সংগৃহীত।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তাপ বাড়ছে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে মদতের অভিযোগে সরব নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে কুলভূষণ যাদবকে ‘শিখণ্ডী’ করে আজ নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। কুলভূষণের মুক্তির দাবিকে ‘অদ্ভুত’ বলে মন্তব্য করেছে তারা।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ-এ আন্তর্জাতিক আদালতে গত কাল থেকে কুলভূষণ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের আইনজীবী খাওয়ার কুরেশি আজ দাবি করেন, ‘সন্ত্রাস ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতি। কুলভূষণ হল তার হাতিয়ার’। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নির্দেশেই কাজ করেছে কুলভূষণ। পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার মনসুর খান ন্যায় আদালতে দাবি করেছেন, কুলভূষণ ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার ছিলেন। গুপ্তচর বৃত্তির জন্যই সে ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছিল। বালুচিস্তান থেকে কুলভূষণকে ২০১৬ সালে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তাঁর কাছে থেকে যে পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল, তাতে একজন মুসলিমের নাম ছিল। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বালুচিস্তান-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় অস্থিরতা তৈরির জন্য পাক-বিরোধী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
আদালতে আজ ঘণ্টা তিনেকের বক্তব্যে কুরেশি জোর দিয়েছেন, কুলভূষণের ‘ভুয়ো’ পাসপোর্ট এবং নাগরিকত্বের উপরে। তাঁর যুক্তি, ‘‘কুলভূষণ কেন ১৭ বার ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে যাতায়াত করেছিলেন, তার সদুত্তর ভারত দিতে পারেনি। তাঁর নাগরিকত্বের প্রমাণ দেয়নি নয়াদিল্লি।’’ তিনি দাবি করেন, ভারত যতই প্রমাণের চেষ্টা করুক, কুলভূষণ ব্যবসায়ী, আদতে তিনি গুপ্তচর।
আনোয়ার আর্জি জানান, নতুন ‘অ্যাড হক বিচারপতি’ নিয়োগ না করা পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি রাখা হোক। কিন্তু তা খারিজ করেছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy