পাকিস্তান সেনায় যোগ হচ্ছে নতুন বাহিনী। ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ তৈরি করছে ইসলামাবাদ। বুধবার বেশি রাতে এই ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। জানিয়েছেন, এই নতুন বাহিনী হবে উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং পাক সেনার শক্তিবৃদ্ধিতে এই বাহিনী ‘মাইলফলক’ হয়ে থেকে যাবে।
কী এই আর্মি রকেট ফোর্স? এই বাহিনীর কাজ কী?
আরও পড়ুন:
নতুন বাহিনীর নাম ঘোষণা করলেও তার কাজ এখনও খোলসা করেনি ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস। এই উপলক্ষে বুধবার মধ্যরাতে ‘আর্মি রকেট ফোর্স’-এর নাম ঘোষণা করেন শাহবাজ়। তাঁর দাবি, গত মে মাসে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের চার দিন ধরে যে সংঘর্ষ চলেছে, তাতে পাক সেনা সফল হয়েছে। সেই সাফল্যের স্মারক হিসাবে সেনায় নতুন বাহিনীর সংযোজন। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের সামরিক শক্তির অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’’ মধ্যরাতের এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসি়ডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারিও।
কিন্তু রকেট ফোর্স কী করবে, তা স্পষ্ট করেননি শাহবাজ়। মনে করা হচ্ছে, চিনের অনুকরণে এই বাহিনীর পরিকল্পনা। চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) চতুর্থ শাখাটির নাম রকেট ফোর্স। মূলত চিনা ফৌজের ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক এবং ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রের যাবতীয় অস্ত্রভান্ডার নিয়ন্ত্রণ করে এই বাহিনী। পারমাণবিক অস্ত্রও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাকিস্তানের রকেট ফোর্সকেও সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা কারও অজানা নয়। পাক সেনাকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্যও করে চিন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, সেনায় নতুন বাহিনীর পরিকল্পনায় চিনকে অনুকরণ করছে ইসলামাবাদ। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে চিনকে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রের তালিকায় রেখে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাহবাজ়। সেই সঙ্গে ধন্যবাদের তালিকায় রাখা হচ্ছে সৌদি আরব, তুরস্ক, আজ়ারবাইজান, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে।
গত ২২ মে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। তাতে পাকিস্তানের অন্দরে বিভিন্ন জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর পর টানা চার দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। গত ১০ মে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় ভারত এবং পাকিস্তান। তবে এখনও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে।