ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহিদ’ বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই মন্তব্যের জেরে সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি যখন উত্তপ্ত, তখন ইসলামাবাদের অস্বস্তি বহুগুণে বাড়িয়েছে সন্ত্রাস নিয়ে আমেরিকার একটি রিপোর্ট। সন্ত্রাস সম্পর্কিত বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি বললেই চলে। বিশেষ করে ভারত-বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠী ও হক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। সমীক্ষাটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ।
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএ) গত বছর তাদের রিপোর্টে কড়া ভাষায় বলেছিল, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পাকিস্তান। সন্ত্রাস সম্পর্কিত মার্কিন বার্ষিক রিপোর্টেও এই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব পিস স্টাডিজ-এর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর আমির রানা মনে করেন, এই রিপোর্ট প্রকারান্তরে বলছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের গড়িমসি বরদাস্ত করা হবে না। রানার কথায়, ‘‘গত বছরের তুলনায় এ বছরের রিপোর্টের সুর আরও কড়া। স্পষ্টই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান যদি এফএটিএ-র কালোতালিকাভুক্ত হওয়া এড়াতে চায়, তা হলে সন্ত্রাসে অর্থ সাহায্য বন্ধ করতে হবে এবং নির্মূল করতে হবে পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে।’’