পশ্চিম এশিয়ায় সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান। আজ পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। তালিবান-আল কায়দার বদলে আইএস পাক-আফগান সীমান্তে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে মনে করছে দিল্লিও। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দিলে নিজেদেরও যে ভুগতে হয় তা টের পেয়েছে পাকিস্তান। তাই এ বার প্রথম থেকেই আইএস দমনে সক্রিয় হয়েছে তারা।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় আইএস কিছুটা প্রভাব বিস্তার করেছে বলে ধারণা পাকিস্তান-সহ বেশ কিছু দেশের গোয়েন্দাদের। তালিবান নেতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের মৃত্যুর পরে অন্তর্দ্বন্দ্বে দুর্বল হয়েছে তালিবান। আইএসের তুলনায় আল কায়দাও এখন দুর্বল বলেই মনে করেন গোয়েন্দারা। সেই পরিস্থিতিতে আইএসে যোগ দিয়েছে তালিবানের বেশ কিছু কম্যান্ডার।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্প্রতি নিজেদের মানচিত্রে খোরাসান এলাকা হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশের বড় অংশকে চিহ্নিত করেছে আইএস। তার পরে সোয়াট প্রদেশের তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের নেতা ফজলুল্লাহ হঠাৎই নিজেকে খোরাসান প্রদেশের নেতা হিসেবে দাবি করতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে যোগ রয়েছে খালিদ খোরাসানি জঙ্গি গোষ্ঠীর। তাই খোরাসান তৈরির লক্ষ্যে আইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন শক্তি সক্রিয় হতে পারে বলে মনে করছে দিল্লিও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, তালিবান-আল কায়দার সঙ্গে পাক সেনা ও আইএসআইয়ের একাংশের যোগ রয়েছে। কিন্তু ইসলামি মৌলবাদকে মদত দেওয়ার ফলও ভুগেছে পাকিস্তান। তাই আইএসের ক্ষেত্রে তারা প্রথম থেকেই কড়া মনোভাব নিতে চাইছে। সম্প্রতি আইএসের সমর্থনে পাকিস্তানে ব্যানার- দেওয়াল লিখন দেখা গিয়েছে। তবে সরকারি ভাবে এখনও সে দেশে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব মানতে রাজি নয় নওয়াজ শরিফ সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy