Advertisement
০৪ মে ২০২৪

পাক প্রধানমন্ত্রীর দেহ-তল্লাশি 

সন্ত্রাস দমনে পাক সরকারের ভূমিকায় ট্রাম্প প্রশাসন যে ভয়ানক অখুশি, বারবার তা জানিয়েছে তারা। এর মধ্যে গত পরশুই পরমাণু ব্যবসায় জড়িত সাতটি পাকিস্তানি সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা।

শহিদ খকন আব্বাসি। ফাইল চিত্র।

শহিদ খকন আব্বাসি। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৮ ০০:৫৫
Share: Save:

নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খকন আব্বাসির দেহ-তল্লাশি করা হয়েছে। কূটনৈতিক পাসপোর্টের অধিকারী রাষ্ট্রনেতা খকনকে কেন এমন অপমান এবং হেনস্থার শিকার হতে হল, তা নিয়ে সরব হয়েছে পাক সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ।

সন্ত্রাস দমনে পাক সরকারের ভূমিকায় ট্রাম্প প্রশাসন যে ভয়ানক অখুশি, বারবার তা জানিয়েছে তারা। এর মধ্যে গত পরশুই পরমাণু ব্যবসায় জড়িত সাতটি পাকিস্তানি সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। এর ফলে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) পাকিস্তানের ঢোকা কঠিন হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

সপ্তাহখানেক আগের ঘটনা। পাক সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো। যাতে দেখা গিয়েছে, লাল টি-শার্ট পরা খকনকে। নিজের পোশাক ঠিক করতে-করতে বেরিয়ে আসছেন বিমানবন্দরে দেহ-তল্লাশির জন্য নির্ধারিত এলাকা থেকে। আর পাঁচ জন সাধারণ বিমানযাত্রীর সঙ্গে মার্কিন মুলুকে যা করা হয়ে থাকে, তা এক দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কেন করা হয়েছে এবং খকনই বা এর প্রতিবাদ করেননি, তা নিয়েই এখন তোলপাড়় পাকিস্তান। পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ আবার খকনকেই গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করছে। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কেন চুপ করে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি পাক প্রধানমন্ত্রী। যদিও তাঁর এক আত্মীয় পাক সংবাদমাধ্যমকে জানান, অসুস্থ বোনকে দেখতে একান্ত ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সাধারণ যাত্রীদের মতো বাণিজ্যিক বিমানে আমেরিকা পৌঁছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাও নিয়মমাফিক করান তিনি। বিষয়টি নিয়ে পড়শি দেশ ভারতের সংবাদমাধ্যম অহেতুক হইচই করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ওই আত্মীয়ের আরও বক্তব্য, ‘‘খকনকে নগ্ন করে তল্লাশি করা হয়েছে বলে ভারতে যা রটানো হচ্ছে, তা ভুল।’’

দেখুন ভিডিও:

তবে খকনের পরিবার বিষয়টিকে যতই ‘ব্যক্তিগত’ বলে দাবি করুক না কেন, ওই সফরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেটাও এমন এক সময়ে, যখন কিছু পাক নাগরিকের ভিসা আটকে দেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না হলে পাকাপাকি ভাবে মার্কিন সামরিক সাহায্যও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে এই দেহতল্লাশি পর্ব দু’দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE