Advertisement
E-Paper

সমালোচিত পাক প্রধানমন্ত্রী

কিরঘিজস্তানের বিশকেকে গত কাল থেকে শুরু হয়েছে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভিডিয়োটি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে ইমরানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৯ ০২:৩৫
এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রয়টার্স

এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রয়টার্স

ওআইসি-র সম্মেলনের পর এ বার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গের অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পাক প্রধানমন্ত্রী।

কিরঘিজস্তানের বিশকেকে গত কাল থেকে শুরু হয়েছে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভিডিয়োটি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে ইমরানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ওই ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপ্রধানেরা একে একে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেছেন। যাঁরা সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করছিলেন, নিজেদের আসনের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন কক্ষের ভিতরে থাকা রাষ্ট্রপ্রধানেরা। কিন্তু ব্যতিক্রম এক মাত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে সোজা নিজের আসনে বসে পড়েন। পাক প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পিছনেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কূটনৈতিক প্রথা মেনে তিনিও নিজের আসনের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। ইমরান খুব অল্প সময়ের জন্যই দাঁড়িয়ে ছিলেন, যখন তাঁর নাম সম্বোধন করা হয়েছিল।

অসৌজন্যের অভিযোগ তুলে নেটিজেনদের একটি বড় অংশ নিশানা করেছেন ইমরানকে। এক জন টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বিশকেকে এসসিও-র সম্মেলনে দেশকে আবার বিড়ম্বনায় ফেললেন ইমরান খান। সকলে যখন দাঁড়িয়ে, এক মাত্র তিনিই বসে। যখন তাঁর নাম বলা হল, শুধু সেই সময় উঠে দাঁড়ালেন। কিন্তু আবার বসে পড়েন। অহঙ্কারী, অভদ্র বা নির্বোধ।’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘ইমরানের কূটনৈতিক শিষ্টাচার শেখা উচিত।’’ এক ইমরান অনুরাগীর টুইট, ‘‘তিনি এলেন, বসলেন, উঠে দাঁড়ালেন। সমালোচকেরা বলছেন ইমরান অভদ্র। কিন্তু আমি বলব, উনি সুদর্শন!’’

মুসলিম সংগঠন ওআইসি-র সম্মেলনেও ইমরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক অসৌজন্যের অভিযোগ ওঠে। সেখানে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয় সৌদি রাজা সলমন বিন আবদুল আজিজ ও ইমরানের। সেই সাক্ষাতের একটি ৩০ মিনিটের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, পাক প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের রাজার কাছে যেতেই, তিনি কিছু বলেন। সেই বক্তব্য দোভাষী ইমরানকে অনুবাদ করে দেন। উত্তরও দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেটিও আজিজকে অনুবাদ করে বলতে থাকেন ওই দোভাষী। কিন্তু সেই অনুবাদ শেষ হওয়ার আগেই অন্য দিকে চলে যান ইমরান। অনেকেই মনে করেছেন, ওই সময়ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক প্রথা মানেননি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

Imran Khan Pakistan Prime Minister Bishkek
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy