আফগান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় তালিবান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ফের অভিযান চালাল পাকিস্তানি বাহিনী। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে স্থানীয় পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন তালিব বিদ্রোহী। তাঁরা প্রত্যেকেই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ বা টিটিপি-র সদস্য ছিলেন বলে দাবি পাক বাহিনীর।
আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এই প্রদেশে দীর্ঘ দিন ধরেই সক্রিয় তালিব বিদ্রোহীরা। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে প্রায়শই সংঘর্ষ লেগে থাকে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। শুক্রবারও খাইবার পাখতুনখোয়ার বানু প্রদেশের শেরি খেল এবং পাক্কা পাহাড় খেল এলাকায় হানা দেয় পাক বাহিনী। ওই অভিযানে ১০ বিদ্রোহী নিহত হন। জখম হন আরও পাঁচ জন। এ ছাড়া এক বিদ্রোহীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক বাহিনী।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেরই অপর এক প্রান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর আট ঘণ্টার অভিযানে নিহত হন আরও সাত তালিব বিদ্রোহী। ওই অভিযানে নিহত বিদ্রোহীদের থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি রাওয়ালপিন্ডির। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ঘি রাখার একটি টিনের মধ্যে ১০ কেজি বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে পাকিস্তানে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অন্যতম টিটিপি। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী মূলত আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকেই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। পাকিস্তানের দাবি, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের শক্তিও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে হামলা, বিস্ফোরণের ঘটনার দায় তারা স্বীকার করেছে। টিটিপি নেতাদের অনেকেই এখন আফগানিস্তানে তালিবানের আশ্রয়ে রয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের।
এই তালিব বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পাক বাহিনী। কয়েক দিন আগেও খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান এবং উত্তর ওয়াজ়িরিস্তানে হানা দিয়ে টিটিপির ১৫ জন সক্রিয় সদস্যকে হত্যা করে পাক বাহিনী। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিদ্রোহী তালিব গোষ্ঠীর অন্যতম কমান্ডার আলম মাহসুদও।