Advertisement
E-Paper

মামদানির ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্যে ‘আপত্তি’ নেই ট্রাম্পের, বৈঠকের পরে সহাস্যে যৌথ কাজের বার্তা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের

মামদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘তিনি যত ভাল করবেন, আমি ততই খুশি হব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। আমরা চাই আমাদের ভালবাসার শহরের ভাল হোক।’’

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৭
(বাঁ দিকে) নিউ ইয়র্কের জ়োহরান মামদানির সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) নিউ ইয়র্কের জ়োহরান মামদানির সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স।

গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়েছিলেন জ়োহরান মামদানির উদ্দেশে। তবে মামদানি নিউ ইউর্কের মেয়র হওয়ার পরে দুই নেতার প্রথম বৈঠকের পরে সেই রাগ গলে যেন জল। শুক্রবার ওভাল ওফিসে দুই নেতার বৈঠকের পরে ট্রাম্পের দাবি, ‘দুর্দান্ত ও ফলপ্রসূ বৈঠক’। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হেসে বলেও ফেললেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে মামদানির করা ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্যে তাঁর ‘আপত্তি’ নেই। কারণ, এর চেয়েও অনেক ‘অপমানজনক’ শব্দ তাঁকে শুনতে হয়েছে। তাই এই মন্তব্য এমন কিছুই নয়।

বৈঠকের আগে মামদানি হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার সময় বৈঠকের বিষয় ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। এমনকি মামদানিকে দেখার জন্য যেখানে সাংবাদিকেরা অপেক্ষা করেছিলেন সেই দরজা দিয়েও ঢোকেননি নিউ ইয়র্কের মেয়র। তাতে জল্পনা বেড়েছিল আরও। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের সামনে দুই নেতা উপস্থিত হলে মামদানির আগের করা ‘স্বৈরাচারী’ মত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাবের আগেই ট্রাম্প এগিয়ে এসে হেসে বলেন, ‘‘ঠিক আছে, তা বলতেই পারেন। এতে আমার আপত্তি নেই। এটা বরং ব্যাখ্যা করার চেয়ে সহজ হবে।’’ পাল্টা হেসে নরম স্বরে মামদানি বলেন, ‘‘ঠিক আছে, হ্যাঁ।’’

এ দিন মামদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘তিনি যত ভাল করবেন, আমি ততই খুশি হব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। আমরা চাই আমাদের ভালবাসার শহরের ভাল হোক।’’ মামদানিকে তাঁর ‘উপদেশ’, ‘আরও নমনীয়’ হওয়ার। ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ পরিবর্তনের বার্তা দিয়ে তাঁর সংযোজন, ‘‘সরকারি পদে যোগ দেওয়ার পরে আমারও বেশ কিছু ভাবনার পরিবর্তন হয়েছে।’’

বৈঠককে ফলপ্রসূ বলে দাবি করেছেন নব নির্বাচিত মেয়রও। তিনি জানান, শুক্রবার বৈঠকের অন্যতম বিষয় ছিল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে অর্থনৈতিক চাপ। ভাড়া, ভূষিমাল-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাশ্রয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জনগণ বিতাড়নও ছিল এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। মামদানির দাবি, শুক্রবারের বৈঠক রাজনৈতিক বিরোধিতা বা আক্রমণের উদ্দেশে ছিল না, এই সাক্ষাৎ ছিল জনগণের সেবা করার জন্য নিজেদের ভূমিকা দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া করে নেওয়ার।


Donald Trump Zohran Mamdani USA The White House
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy