ছবি: সংগৃহীত।
শেষবেলায় বাজিমাত ডোনান্ড ট্রাম্পের! ফলাফল ঘোষণার আগে থেকেই পাল্লা খানিকটা হলেও যেন ভারি ছিল হিলারি ক্লিন্টনের। যদিও ভোট সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কখনও ট্রাম্প, কখনও বা এগিয়ে হিলারি। তবে রাজনীতির পণ্ডিতদের অধিকাংশ বাজিই ছিল হিলারি ক্লিন্টনের দিকে। কিন্তু, বাজির দান উল্টে হোয়াইট হাউসের পথে এখন ট্রাম্প। সে পথে কী ভাবে এগোলেন ট্রাম্প? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই পথচলা।
৭০ বছর বয়সে প্রথম বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটা রেকর্ড। কিন্তু, হিলারির তুলনায় শুরুর পথটা কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্পের। হিলারির মতো তথাকথিত রাজনৈতিক আভিজাত্য নেই। নিজের কেরিয়ারে বসতে হয়নি কোনও রাজনৈতিক পদেও। তার উপরে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ভোটপ্রচারে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র রোষ ছড়িয়েছে মার্কিন জনমানসের একাংশের মধ্যে। বেআইনি ভাবে আমেরিকায় ঢোকা মুসলিম অভিবাসীদের পথ বন্ধ করতে চেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে যোগ করুন, তাঁর একাধিক যৌন কেচ্ছার কথা। নির্বাচনের দিন যত গড়িয়েছে, সামনে এসেছে ট্রাম্পের ব্যক্তিজীবনের রসালো গল্পেগাথা। ফলে হিলারির তুলনায় শুরু থেকেই যেন কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন তিনি। তবে, এই সমস্তই যে তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়নি তা পরিষ্কার হল একেবারে শেষবেলায়।
বিজয়ী ভাষণে প্রতিদ্বন্দ্বীর হিলারিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, “মার্কিন রাজনীতিতে হিলারির সেবার জন্য আমরা তাঁর কাছে ঋণী।” হিলারি নিজেই টেলিফোন করে ট্রাম্পকে জয়ের শুভেচ্ছা দিয়েছেন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
কে না জানেন, প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি হিলারি রাজনীতির ময়দানে মসৃণ ট্র্যাকে ছিলেন। সেনেটর পদে থাকার পর ওবামা প্রশাসনে বিদেশসচিব। তুলনায় রাজনীতি থেকে দূরে ট্রাম্প নিজের রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পাশাপাশি নাম করেছেন রিয়্যালিটি টেলিভিশন শো-এর সঞ্চালক হিসেবেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতাকে ট্রাম্প ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন ফ্লোরিডা, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহায়ো এবং পেনিসিলভেনিয়ার মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট জিতে।
নির্বাচনী প্রচারেই নিজের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যে সাফল্য পেয়েছেন তা-ই প্রতিফলিত করতে চান মার্কিন সমাজে। স্লোগান তুলেছেন, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন।’ নির্বাচনের ফলাফলেই পরিষ্কার, শেষমেশ সেই স্লোগানেই ভরসা করলেন অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy