লন্ডনের রাস্তায় উপচে পড়েছে ভিড়। ছবি: রয়টার্স।
তাঁর শাসনকালের অধিকাংশ সময়টা তিনি কাটিয়েছিলেন এই প্রাসাদে। বছর দুই হল উইনসর প্রাসাদে থাকছিলেন ঠিকই, কিন্তু বিগত কয়েক দশক ব্রিটেনের রানির সরকারি বাসভবন ছিল লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদ। গত কাল রাতে স্কটল্যান্ড থেকে সেই বাকিংহামে ফিরেছিল ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের কফিন। বুধের দুপুরে শেষবারের মতো নিজের সরকারি বাসভবন ‘ছেড়ে গেলেন’ রানি। গন্তব্য, ওয়েস্টমিনস্টার হল। তাঁকে শেষ বারের জন্য দেখতে টেমসের তীরে বাড়ছে ভিড়। আজ বিকেল ৫টা থেকে ব্রিটেনবাসীর জন্য খুলে দেওয়া হয় ওয়েস্টমিনস্টার হলের দরজা। আগামী সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সেখানেই কফিনে শায়িত থাকবেন রানি।
আজ বাকিংহাম ছেড়ে রানির কফিন যখন যাত্রা শুরু করল, হাইড পার্কে তোপধ্বনি শুরু হয়। ওয়েস্টমিনস্টার হলে কফিন পৌঁছনো পর্যন্ত রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি এক মিনিট অন্তর বেজে উঠেছে বিগ বেন।
ড্রামের হাল্কা আওয়াজ আর ঘোড়ার পায়ের শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রানির কফিনের সঙ্গে আজ একসঙ্গে আবার হাঁটলেন তাঁর চার সন্তান। পিছনে পিছনে হেঁটেছেন রাজা তৃতীয় চার্লসের দুই ছেলে উইলিয়াম এবং হ্যারি। সঙ্গে ছিলেন পরিচিত লাল পোশাক আর কালো টুপি পরা বাকিংহামের রাজরক্ষীরা। রানির কফিন ঢাকা ছিল লাল-হলুদ রয়্যাল স্ট্যান্টার্ড পতাকায়। তার উপরে উজ্জ্বল বেগুনি কুশনের উপরে রাখা ছিল তাঁর মুকুটটি। উইনসর প্রাসাদের বাছাই করা ফুল দিয়ে বানানো স্তবকও ছিল কফিনের উপরে।
লিজ় ট্রাস সরকার আগাম জানিয়ে রেখেছে, ওয়েস্টমিনস্টার হল পৌঁছতে লেগে যেতে পারে একটা গোটা দিন। হয়তো এক এক জনের জন্য ৩০ ঘণ্টা সময়ও লাগতে পারে। তাই সঙ্গে হাল্কা খাবার ও পানীয় রাখার পরামর্শ দিয়ে রেখেছে সরকার। তবে হলে ঢোকার আগে শেষ করে ফেলতে হবে সেগুলি। রাস্তায় দর্শনার্থীদের সাহায্যে করতে মোতায়েন করা হয়েছে অসংখ্য পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীকে।
রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডন আসবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আজ ভারত সরকারের তরফে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতের প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতিই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে স্থির হয়েছে।
তথ্য সহায়তা: অগ্নি রায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy