Advertisement
E-Paper

Volcanic eruption: ‘তীব্র কম্পন, যেন পরমাণু বিস্ফোরণ’

গত সপ্তাহে যখন অগ্ন্যুৎপাত হয় তখন ওই দ্বীপে উপস্থিত ছিলেন টোঙ্গা রেড ক্রসের সেক্রেটারি জেনারেল সিওনে তাওমোফলাউ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৫১
ইন্টারনেট, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে আকাশপথে নজরদারিও চালানো যাচ্ছে না।

ইন্টারনেট, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে আকাশপথে নজরদারিও চালানো যাচ্ছে না।

সমুদ্রের তলদেশে জেগে উঠেছিল হুঙ্গা-টোঙ্গা-হুঙ্গা-হাপাই আগ্নেয়গিরি। যার জেরে সুনামির কবলে পড়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপদেশ টোঙ্গা। সেই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কেঁপে উঠেছিল গোটা দ্বীপ রাষ্ট্রটি। মনে হয়েছিল, যেন ‘পরমাণু বোমা’ নিক্ষেপ করা হয়েছে। গোটা বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন টোঙ্গায় এখন পানীয় জলের তীব্র হাহাকার।

গত সপ্তাহে যখন অগ্ন্যুৎপাত হয় তখন ওই দ্বীপে উপস্থিত ছিলেন টোঙ্গা রেড ক্রসের সেক্রেটারি জেনারেল সিওনে তাওমোফলাউ। একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি আজ বলেন, ‘‘গোটা দ্বীপ প্রচণ্ড জোরে কেঁপে উঠেছিল… মনে হল যেন পরমাণু বিস্ফোরণ হয়েছে। আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের সেই প্রচণ্ড শব্দ গোটা দেশে শোনা গিয়েছে। শব্দের তীব্রতার কারণে ওই কম্পন হয়েছিল।’’

বিস্ফোরণের জন্য গোটা দ্বীপরাষ্ট্র কার্যত ছাইয়ের নীচে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। যার ফলে কোথায় কতটা ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাওমোফলাই বলেন, ‘‘এখন আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ছাই। এই ছাইয়ের স্তূপ সরিয়ে ত্রাণের কাজ শুরু করাই চ্যালেঞ্জের।’’

ওই দ্বীপরাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর জোনাথান ভিচ ফিজি থেকে জানিয়েছেন, টোঙ্গায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘টোঙ্গার অধিকাংশ বাসিন্দাই বৃষ্টির জলের উপর নির্ভরশীল। ওই জল ধরে রেখে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যদি ছাই মিশে সেই জল পানের অযোগ্য হয়ে পড়ে তা হলে সমস্যা।

আকাশপথে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজ়িল্যান্ডের সেনাবাহিনী ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে টোঙ্গাবাসীকে। টোঙ্গায় ভেঙে পড়া ইন্টারনেট পরিষেবা মেরামতের জন্য এগিয়ে এসেছেন আমেরিকার ধনকুবের এলন মাস্ক।

অলিম্পিক্সে খালি গায়ে দেশের পতাকা হাতে ভাইরাল হয়েছিল টোঙ্গার অ্যাথলিট পিটা টফাটোফুয়ার ছবি। তিনি দেশে ত্রাণের জন্য টাকা তুললেন। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সমুদ্রে ২৭ ঘণ্টা সাঁতরে বেঁচে গিয়েছেন টোঙ্গার ৫৭ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী লিসালা ফোলু নামে এক ব্যক্তি। ওই ঘটনার পর থেকে তাঁকে নেটনাগরিকরা ‘অ্যাকোয়াম্যান’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন।

Volcano australia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy