নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
দেশে ভোটের আসরে বাস-ট্রাক-টেম্পোয় লোক এনে জনসভায় ভিড় জমানো হয়। বিদেশের মাটিতেও একই পথ নিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর সভায় লোক ভরানোর জন্য ওমানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতের একটি চিঠি নিয়ে দেশের মাটিতে তুলকালাম।
আজ ওমানে অনাবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে লোক ভরাতে সে দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে গত মাসে চিঠি লিখেছিলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ইন্দ্রমণি পাণ্ডে। তাতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে সংস্থায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মীদের আধা দিনের জন্য পাঠাতে হবে। আর তাতে যেন ৮০ শতাংশ ‘ব্লু-কলার’ কর্মী থাকে। এই কর্মীদের সভায় যাতায়াতের দায়িত্বও সংস্থাকেই নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও স্কুল থেকে আনা হয়েছে।
ওমানের রাজধানী ম্যাসকটে প্রধানমন্ত্রীর সভার আয়োজন করা হয়েছে সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সেখানে ৩৪ হাজার আসন আছে। কিন্তু এত বন্দোবস্তের পরেও মাঠ ভরেনি। গায়ে-গতরে খাটা শ্রমিকদেরই এখানে নাম ‘ব্লু-কলার’ কর্মী। সেই শ্রমিকদের ধরে এনে কর্নাটকের ভোটের প্রচারই করেছেন মোদী। বলেছেন— ৯০ পয়সায় চা মেলে না, কিন্তু সেই পয়সায় বিমার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। বাজেটে ১০০ কোটি গরিবের চিকিৎসার যে প্রস্তাব এসেছে, তাকে মোদী এ দিন নিজেই ‘মোদী কেয়ার’ বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রামাল্লা যাত্রাপথ নিয়ে প্রশ্ন
তবে মাঠ ভর্তির জন্য দূতাবাসকে ব্যবহার করায় চটেছে কংগ্রেস। স্যাম পিত্রোদার সঙ্গে রাহুল গাঁধীর বিদেশ সফরের আয়োজন করেন কংগ্রেসের নেতা মধু গৌড় ওয়াস্খি। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোদীর বিদেশ সফর আয়োজন করা হয়। কূটনীতিকদেরও নামতে হচ্ছে ভিড় বাড়াতে।’’ যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, ‘‘সরকারিতন্ত্রের অপব্যবহার করা হয়নি। গোটা বিশ্বে মোদীর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি কোনও দেশে গেলে সেখানকার অনাবাসী ভারতীয়রা তাঁর কথা শুনতে চান। দূতাবাস সেই ব্যবস্থা করে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনলাইনেও আবেদনপত্র নেওয়া হয়েছে।’’
কংগ্রেসের কটাক্ষের পাল্টা হিসেবে বিজেপি আজ একটি ভিডিও প্রকাশ করে অভিযোগ করেছে, কর্নাটকে রাহুলের সভাতেও টাকা দিয়ে লোক আনা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy