পোল্যান্ড এবং সুইডেনের মধ্যবর্তী সমুদ্রের তলা দিয়ে গিয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন। বৃহস্পতিবার সেখানে রাশিয়ার একটি জাহাজের ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’ নজরে এসেছে বলে অভিযোগ করল পোল্যান্ড!
প্রাথমিক ভাবে সেটিকে রুশ সামরিক জাহাজ বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। পোল্যান্ডের দাবি, ঘটনা নজরে আসার পরেই প্রতিরোধী পদক্ষেপ করেছে তাদের নৌসেনা। কিন্তু রাশিয়ার তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও জবাব মেলেনি। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পোল্যান্ড এবং সুইডেন দু’দেশেই রাশিয়ার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে। ফলে মস্কোর পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে যুদ্ধের ১১৮৩তম দিনে।
বুধবার পশ্চিম রাশিয়া এবং ইউক্রনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত কুর্স্ক এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পর থেকে নতুন করে আক্রমণের অভিঘাত বাড়িয়েছে তাঁর বাহিনী। বৃহস্পতিবার তারা দেড়শোর বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের দাবি তুলেছে। পাশাপাশি, ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার ‘নির্দিষ্ট সময়সীমা ছাড়া’ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গত শুক্রবার ইস্তানবুলের রয়্যাল প্যালেসে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে প্রথম বার মুখোমুখি আলোচনা করেছিল রাশিয়া-ইউক্রেনে। কিন্তু যুদ্ধে ১১৭৭তম দিনে দু’পক্ষের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এর পর নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য সক্রিয় হন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার পুতিনের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি।
কূটনীতি ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পুতিন আশঙ্কা করছেন অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতির সময়টুকুর সদ্ব্যবহার করে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির সহায়তার অস্ত্র আমদানি করে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবেন জ়েলেনস্কি। এ বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে পুতিন কিছু সুনির্দিষ্ট শর্ত দিয়েছেন বলে কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি। পাশাপাশি, অভিযোগ উঠেছে, আলোচনার জন্য কালক্ষেপ করে দ্রুত ইউক্রেনের যত বেশি সম্ভব ভূখণ্ড হস্তগত করতে চাইছেন পুতিন।