নাভালনির সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। রবিবার মস্কোয়। ছবি: রয়টার্স।
বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মুক্তির দাবিতে গত শনিবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাশিয়া। গ্রেফতার করা হয় কয়েক হাজার আন্দোলনকারীকে। রবিবারও একই পথে হেঁটে ক্রেমলিনের উপর চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল নাভালনি-সমর্থকদের। সেই অনুযায়ী মস্কো-সহ রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে এ দিন জমায়েত শুরু করে তাঁরা। তবে এ বার পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না-বেরিয়ে যায়, তার জন্য আগে থেকেই কোমর বেঁধেছিল প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকেই মস্কো শহরের প্রাণকেন্দ্র-সহ একাধিক শহরে রীতিমতো লকডাউন জারি করে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রায় সাতটি প্রধান মেট্রো স্টেশনও। পথচারীদের আটকে দেওয়া হয় একাধিক জায়গায়। রাস্তায় গাড়ি চলাচলও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। তাতেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি সরকার-বিরোধী প্রদর্শন। মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন কমপক্ষে ৬৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নাভালনি-পত্নী ইউলিয়া নাভালনায়াও।
এ দিকে লকডাউন বিধি ভেঙে বিক্ষোভ সংগঠিত করার অভিযোগে চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই
নাভালনির আইনজীবী এবং তাঁর ভাই-সহ একাধিক সহযোগীকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। মার্চ মাস শেষ পর্যন্ত অন্তত তাঁদের এ ভাবেই রাখা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশকেও শনিবার করোনা বিধি অমান্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, প্রতিবাদ আইন ভাঙার অভিযোগে ন’দিন জেলে কাটানোর পর সে দিনই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। অন্য দিকে, আগামী দিনে সরকারের স্বীকৃতি ছাড়া মিছিল করলে সকল প্রতিবাদীর বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপের সতর্কবার্তা জারি করেছে রুশ প্রশাসন। যদিও প্রশাসনের চোখরাঙানির খুব বেশি প্রভাব পড়েনি প্রতিবাদের উপর। এমনকি প্রায় মাইনাস ২০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেই সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক শহরের মানুষও যোগ দেন প্রতিবাদ-প্রদর্শনে। দেশ জুড়ে স্লোগান ওঠে, ‘স্বাধীনতা!’ এবং ‘পুতিন চোর!’ কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে অবশ্য শেষ মুহূর্তে জমায়েত কর্মসূচিতে খানিক বদল আনতে বাধ্য হতে হয় আন্দোলনের নেতাদের।
তাঁর বিরুদ্ধে চলা একাধিক মামলায় এই সপ্তাহেই বিচার শুরু হবে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিনের কট্টর বিরোধী নাভালনির। বিষপ্রয়োগের অভিঘাতে অসুস্থ হওয়া এই বিরোধী নেতার চিকিৎসা চলছিল জার্মানিতে। গত ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরা মাত্র গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy