Advertisement
E-Paper

করোনা নয়, ঠান্ডা লেগেই কাবু পোপ

তবে আজ ইটালির এক সংবাদপত্র জানিয়েছে,  ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন পোপ। যা শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে গোটা বিশ্ব। যদিও পোপের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ভাটিক্যান সিটি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০২:৩৪
পোপ ফ্রান্সিস। ফাইল চিত্র। এপি।

পোপ ফ্রান্সিস। ফাইল চিত্র। এপি।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই অসুস্থ ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। লাগাতার হাঁচি-কাশি, সঙ্গে চোখ লাল। গত শনিবার শেষ বার প্রকাশ্যে আসার সময়ে তাঁকে কাশতে দেখা যায়। ইটালিতে যে-ভাবে করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে তাতে পোপের স্বাস্থ্য নিয়েও আশঙ্কা বেড়েছিল।

তবে আজ ইটালির এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন পোপ। যা শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে গোটা বিশ্ব। যদিও পোপের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ভাটিক্যান সিটি।

অসুস্থতার জেরে সম্প্রতি বেশ কিছু কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন ৮৩ বছরের পোপ ফ্রান্সিস। রবিবার সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারের বিশেষ অনুষ্ঠানে কাশতে, নাক মুছতে দেখা গিয়েছিল পোপকে। ওই অনুষ্ঠানেই পোপ ঘোষণা করেন, রিট্রিট অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারবেন না তিনি।

সূত্রের খবর, মাত্র কুড়ি বছর বয়সেই পোপের ফুসফুসের একটি অংশ বাদ গিয়েছিল। তখন তিনি আর্জেন্টিনার বাসিন্দা। ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে পোপের। তা ছাড়াও রয়েছে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা। নিয়মিত সে সবের
জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলেন পোপ। পোপের করোনা-জল্পনার পিছনে ভক্তদের সঙ্গে হাত মেলানোর মতো কারণ বলছিলেন
অনেকেই। সংক্রমণ এড়াতে হাত মেলানো বা জড়িয়ে ধরার মতো শারীরিক সংস্পর্শ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে অনেক দেশই। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার। লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে সচেতনতা। হাত ধরা, জড়িয়ে ধরা বা অন্যান্য শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে বরং শুভেচ্ছা জানানো হোক হাতের মুদ্রায় বা ইঙ্গিতের মাধ্যমে।

ফ্রান্সের সংবাদপত্রগুলিও ভরে উঠেছে এ সংক্রান্ত প্রচারমূলক প্রতিবেদনে। সেখানকার এক শিষ্টাচার বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, উল্টো দিকের মানুষটির শুধু চোখের দিকে তাকিয়েও দিব্যি শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়। তার জন্য করমর্দন বা জড়িয়ে ধরার প্রয়োজন পড়ে না। একাধিক মানুষকে পানীয় খেতে একই স্ট্র ব্যবহার না করারও উপদেশ দিয়েছে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্পেন, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, ইরান, নিউজ়িল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমেরিকা সমস্ত জায়গাতেই চলছে এমনই সচেতনামূলক প্রচার।

Pope Francis Vatican City
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy