Advertisement
০২ মে ২০২৪
Nepal Prime Minister

নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড, ওলির সঙ্গে চুক্তি, ভাগাভাগি হবে পদ

বিরোধী সিপিএন-ইউএমএল-সহ ছোট দলগুলি বাড়ায় সমর্থনের হাত। তাদের সমর্থনে নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সিপিএন-মাওয়িস্ট সেন্টার নেতা পুষ্পকুমার দহল ওরফে ‘প্রচণ্ড’।

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রচণ্ড।

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রচণ্ড। — ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
কাঠমান্ডু (নেপাল) শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:২৪
Share: Save:

নাটকীয়ই বটে! প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সকালে। দুপুর গড়াতেই বিরোধী সিপিএন-ইউএমএল-সহ ছোট দলগুলি বাড়ায় সমর্থনের হাত। তাদের সমর্থনে নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সিপিএন-মাওয়িস্ট সেন্টার নেতা পুষ্পকুমার দহল ওরফে ‘প্রচণ্ড’।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে প্রচণ্ডের দলের। দুই দল থেকেই ভাগাভাগি করে হবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচণ্ডের দাবি মেনে তাঁকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সায় দিয়েছেন ওলি। তাই এখন প্রচণ্ডই হচ্ছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পরের দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ওলি।

রবিবার সকালেই নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দলের জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন প্রচণ্ড। তাঁকে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রিত্ব দিতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী তথা নেপাল কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবা। এমনকি, প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের পদও নিজেদের দখলেই রাখতে চেয়েছিলে দেউবা। সিপিএন-এমসিকে আপাতত স্পিকারের পদই দিতে চেয়েছিলেন। রাজি হননি প্রচণ্ড। সে কারণে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

এর পর রবিবার ওলির বাসকোটের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-এমসি, ওলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল, রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) এবং অন্য ছোট ছোট দল। ছিলেন সব দলের শীর্ষ নেতারা। নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে জোট সরকার গড়ার বিষয়ে সহমত হয়েছে দলগুলি। সিপিএন-এমসি নেতা দেব গুরুঙ্গ জানান, নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) ধারা মেনে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতা চুক্তিতে সই করেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে সেই চুক্তি পাঠানো হবে।

নেপালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যসংখ্যা ২৭৫। সেখানে ১৬৫ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। তার মধ্যে সিপিএন-ইউএমএলের ৭৮ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। প্রচণ্ডের দল সিপিএন-এমসির ৩২ জনের সমর্থন রয়েছে। আরএসপির ২০ জন, আরপিপির ১৪ জন, জেএসপির ১২ জন, জনমত দলের ৬ জন এবং নাগরিক উন্মুক্তি পার্টির ৩ জনের সমর্থন রয়েছে।

সিপিএন-ইউএমএলের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখারেল বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও নেপালি কংগ্রেস সরকার গড়তে পারেনি। এখন প্রচণ্ডের নেতৃত্বে সিপিএন-ইউএমএলের নতুন সরকার গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। তাতে সমর্থন রয়েছে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতার।’’

প্রসঙ্গত, নেপালের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হল নেপালি কংগ্রেস। তাদের আসন সংখ্যা ৮৯। সরকার গড়ার জন্য ১৩৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে নতুন জোট সরকারের ১৬৫ জনের সমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে আস্থাভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে প্রচণ্ডকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nepal Prime Minister Prachanda KP Sharma Oli
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE