বৃহস্পতিবার একটি হ্যাচব্যাক গাড়িতে ধাক্কা মারে ফিলিপের ল্যান্ড রোভার। ছবি: রয়টার্স।
দুর্ঘটনার পরে দু’দিনও কাটেনি, নতুন গাড়ি নিয়ে শনিবার ফের বেরিয়ে পড়লেন প্রিন্স ফিলিপ। তা-ও সিটবেল্ট না লাগিয়েই।
বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ফিলিপের গাড়ি ধাক্কা মারে অন্য একটি গাড়িকে। গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রিন্স নিজেই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর চোট গুরুতর নয়। কিন্তু অন্য গাড়িটির যাত্রীরা আহত হন। এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, ৯৭ বছরের এক প্রবীণের গাড়ি চালানো কি ঠিক? দুর্ঘটনা নিয়ে রানি কোনও মন্তব্য করেননি। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘মানুষের মনে যে প্রশ্ন উঠছে, সেটা বুঝছি। কিন্তু যে কোনও ঘটনায় যেমন তদন্ত হয়, এ ক্ষেত্রেও হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।’’
রানির স্যান্ডরিংহ্যাম এস্টেটের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। শীতকালের বেশির ভাগটাই ফিলিপ-এলিজাবেথ এই এস্টেটেই কাটান। বৃহস্পতিবার একটি হ্যাচব্যাক গাড়িতে ধাক্কা মারে ফিলিপের ল্যান্ড রোভার। অন্য গাড়িটির পিছনের আসনে ছিল একটি ন’মাসের শিশু। তার কোনও আঘাত লাগেনি। কিন্তু গাড়িতে থাকা দুই মহিলার এক জনের কব্জি ভেঙেছে ও অন্য জনের হাঁটুতে চোট লেগেছে। ল্যান্ড রোভারটি কাত হয়ে পড়ে যায় রাস্তায়। উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। ফিলিপ এবং অন্য গাড়িটির চালক মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন কি না, পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু কারও শ্বাসেই অ্যালকোহল মেলেনি। স্থানীয় একটি দৈনিকে ফিলিপ দাবি করেছেন, সূর্যের আলো পড়ে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু এ ঘটনার জের না কাটতেই নতুন ল্যান্ড রোভার নিয়ে ফিলিপের বেরিয়ে পড়ায় ভ্রূ কোঁচকাচ্ছেন দেশের মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy