Advertisement
E-Paper

প্রচারের ঢোল পিটিয়েই আল-কায়দাকে টপকে গেল আইএস!

কিছুটা বেকায়দায় আল-কায়দা। কারণ, ইসলামিক স্টেটই (আইএস) এখন প্রচারে প্রথম। প্রভাবেও। কী ভাবে?

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৬ ১৬:১২
আমাক নিউজ এজেন্সির ‘লোগো’।

আমাক নিউজ এজেন্সির ‘লোগো’।

কিছুটা বেকায়দায় আল-কায়দা।

কারণ, ইসলামিক স্টেটই (আইএস) এখন প্রচারে প্রথম। প্রভাবেও।

কে বলবে, এই একুশ শতকে পা দিয়েই একেবারে আমেরিকার খাস-তালুকে হানা দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিল আল-কায়দা!

গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। আমেরিকায় ঢুকে পড়ে মার্কিনীদের জাত্যাভিমানে ঘা দেওয়ার মতো এত বড় ঘটনা ইদানিং কালে আর কেই-বা ঘটাতে পেরেছে?

তবু গত চার/পাঁচ বছর ধরে গোটা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমের নজর কেড়ে নিয়েছে আইএস। প্রচারে। প্রভাবে। আল-কায়েদার কায়দা-কসরতের দিন ফুরিয়েছে।

কেন? লোকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাঁদের মাথা কাটছে বলে?

কিন্তু, তার চেয়ে তো অনেক বেশি ‘সাহসের পরিচয়’ দিয়েছিল আল-কায়দা, খোদ আমেরিকার জাত্যাভিমানে ঘা দিয়ে!

আরও পড়ুন- বেলজিয়ামে পরমাণু কেন্দ্রের রক্ষীকে মেরে পাস নিয়ে উধাও জঙ্গিরা

এর কারণটা সম্ভবত লুকিয়ে রয়েছে আইএসের সংগঠন পরিচালনার কায়দা-কৌশলেই। এমনটাই বলছেন আটলান্টায় জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রফেসর শার্লি উইন্টার। তাঁর গবেষণা জানাচ্ছে, বেশ কিছু দিন ধরেই একেবারে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি নিউজ এজেন্সি চালু করেছে আইএস। যার নাম- ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’ (এএনএ) বা ‘আনা’। যে এজেন্সি প্রতি মুহূর্তে, প্রতি ঘণ্টায়, প্রতি দিন ‘খবর’ পাঠিয়ে চলেছে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই, আমজনতার কাছে। মোবাইলে। তাদের সংগঠন, তাদের মতাদর্শেরই খবর। আইএসের সক্রিয় সদস্যরা কী ভাবে চলেন, তাঁদের জীবনযাপনের পদ্ধতি কেমন, তাঁদের নিয়মানুবর্তিতা কতটা, তাঁদের মতাদর্শ কতটা নিখাদ, কতটা স্বচ্ছ্বতা রয়েছে তাঁদের সংগঠন চালানোর পদ্ধতি-প্রকৌশলে, বিনোদন বলতে তাঁরা কী বোঝেন, মহিলাদের সম্পর্কে তাঁদের কী ধ্যান-ধারণা, ওই নিউজ এজেন্সির মাধ্যমে সেটাই কৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে শুধুই ওই এজেন্সি ‘খবর’ দিত আরবি ভাষায়। এখন তা আরও তিনটি ভাষায় ‘খবর’ দিচ্ছে। রুশ, ফরাসি আর ইংরেজিতে। সে সব লেখার কায়দাও ভারী চমৎকার! যেন কোনও সাংবাদিকের কলম! রসিয়ে-খেলিয়ে লেখা! গভীরে ঢুকে লেখা। সেই লেখায় কালে-ভদ্রে থাকে হজরত মহম্মদের নাম। থাকে না বললেই চলে আইএসের সর্বাধিনায়ক বা তার কোনও কম্যান্ডারের ছবি বা প্রতি দিনের বিবৃতি। এমনকী, লোকজনের মাথা কাটার কোনও ছবি বা ‘খবর’ও দেয় না সেই নিউজ এজেন্সি।

তার ‘খবর’ দেওয়ার ভাষাটা এতই ‘সুভদ্র’ যে আইএসের ‘আত্মঘাতী জঙ্গি’ বা ‘সুইসাইড বম্বার’কেও সেখানে বলা হয় ‘মার্টারডম অপারেশনস’ বা ‘শহিদের কাজ’!

publicity strategy is al-qaida amaq news agency
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy