ধর্ম-যুদ্ধে নেমে আসিরীয় সভ্যতার প্রায় সব নিদর্শনই ধুলোয় মিশিয়েছে জঙ্গিরা। শতাব্দী প্রাচীন এই সভ্যতার ভগ্নপ্রায় স্থাপত্যের ছিটেফোঁটাও আর থাকতে দেবে না বলে হুমকিও দিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)। সেই মতো তারা আগুন জ্বালিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থাগার, জাদুঘর, সংগ্রহশালায়। তবে এ বার ইরাক-সিরিয়ার বাইরে বেরিয়ে মিশরের স্ফিংস এবং পিরামিডের মতো স্থাপত্য ধ্বংস করার ডাক দিয়েছে তারা!
সম্প্রতি সৌদি আরবের একটি সংবাদপত্রে এই নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি স্বয়ং মিশরের শতাব্দী প্রাচীন স্থাপত্যে আঘাত হানার ডাক দিয়েছেন।
তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন কুয়েতের এক আইএস প্রচারক।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে লাগাতার হামলা চালানোর পরে, মিশরের স্ফিংস এবং পিরামিডের উপরেও আঘাত হানা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন আইএস-এর
শীর্ষ নেতারা। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে পাল্টা একটি খবর প্রকাশ করেছে ইরানের একটি সংবাধমাধ্যম। সেখানে আল-বাগদাদিকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘‘ধর্মীয় কারণেই ঐতিহাসিক স্থাপত্য ধ্বংস করা জরুরি।’’ এই মন্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই জঙ্গিনেতা দাবি করেছেন, প্রথম থেকেই মূর্তিপুজোর বিরোধিতা করে আসছেন তাঁরা। কোনও মূর্তি বা কোনও স্থাপত্যকে সামনে রেখে ইতিহাসচর্চার প্রতিবাদ করতেই ইসলামিক স্টেট আসিরীয় সভ্যতার নিদর্শনের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। ঠিক একই কারণে এ বার তারা মিশরীয় স্থাপত্যে আঘাত হানতে চাইছে।
আসিরীয় সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার পরে আইএস-এর এই হুমকিেত স্বভাবতই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশ্বের ঐতিহাসিক স্থানগুলির সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy