Advertisement
E-Paper

পুলিশের গুলিতে নিহত প্রাক্তন দেহরক্ষী, তদন্তের নির্দেশ হাসিনার

পুলিশের দাবি, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদের সঙ্গে মাদক পাচারচক্রের যোগ রয়েছে। তাঁর গাড়ি থেকে বিদেশি মদ, গাঁজা এবং নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ১৭:২৪
বাংলাদেশ সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মহম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাসিনা— ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশ সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মহম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাসিনা— ফাইল চিত্র।

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেহরক্ষী বাহিনীর প্রাক্তন অফিসারের নিহত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। নিহত সিনহা মহম্মদ রাশেদ খান বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। পুলিশের অভিযোগ, ৩৪ বছরের রাশেদ মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঘটনার তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়েছেন হাসিনা। ঘটনায় অভিযুক্ত ২০ জন পুলিশকর্মীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে রাশেদ এবং তাঁর সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত একটি গাড়িতে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ ধরে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় টেকনাফ থানার অন্তর্গত শামলাপুর চেকপোস্টের কর্মীরা একটি গোপন খবরের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতীদের সন্ধানে নাকা চেকিং চালাচ্ছিলেন। রাশেদ সেনা সদস্যের পোশাক পরে ছিলেন। অভিযোগ, গাড়ি থামালেও তল্লাশি করতে দিতে চাননি। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদের সময় রাশেদ পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে উদ্যত হন। সে সময় পুলিশ কর্মীরা পাল্টা গুলি চালালে নিহত হন শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর প্রাক্তন অফিসার।

বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, রাশেদের গাড়ি থেকে বিদেশি মদ, গাঁজা এবং নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। সিফাতের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগও রুজু করা হয়েছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘‘নিহত রাশেদ তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য গত কয়েক মাস ধরে কক্সবাজারে ছিলেন বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে।’’ পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পুলিশি এনকাউন্টারের কয়েক ঘণ্টা আগে শামলাপুরের পাহাড় জঙ্গল-ঘেরা এলাকায় রাশেদদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। মায়ানমার সীমান্তের অদূরের ওই এলাকায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ বলে পরিচিত।

আরও পড়ুন: এইচ-১বি ভিসা নির্দেশে সই ট্রাম্পের, সমস্যায় পড়বেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা

টেকনাফ থানার তরফে মাদক আইন এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয় সিফাতের বিরুদ্ধে। যদিও রাশেদের পরিবার পুলিশের অভিযোগ খারিজ করে পুরো ঘটনাকে ‘ভুয়ো সংঘর্ষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ঘটনার পরে প্রাক্তন সেনা অফিসার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি পুলিশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। রাশেদের বাবা এরশাদ খান বাংলাদেশ অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন উপসচিব। পর্যটন সংক্রান্ত তথ্যচিত্র বানানোর উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে সেনা থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছিলেন রাশেদ।

আরও পড়ুন: বাঘবনে রাজত্ব নেড়ি কুকুরের, ভারসাম্য নিয়ে শঙ্কায় পরিবেশবিদেরা

Bangladesh Sheikh Hasina Prime Minister Major (Retired) former bodyguard
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy