ফাইল চিত্র।
ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। সেই আবহে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তির জামাইকে ঘিরে জোর আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। সম্প্রতি ঋষি-পত্নী অক্ষতার পারিবারিক সম্পত্তির কথা উঠতেই গর্জে উঠলেন সুনক।
টিভিতে এক বিতর্কসভায় তাঁর শ্বশুর নারায়ণমূর্তি ও শাশুড়ি সুধামূর্তির প্রশংসা করতে দেখা গেল ঋষিকে। তিনি বলেন, ‘‘আমার শ্বশুরশাশুড়ি যা গড়েছেন, তাতে আমি অত্যন্ত গর্বিত।’’ ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসে তাঁর স্ত্রী অক্ষতামূর্তির অংশীদারিত্ব এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত আয় বাবদ ব্রিটেনে কর না দেওয়া নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে সে দেশে।
এ প্রসঙ্গে ঋষি বলেন, ‘‘আমি ব্রিটেনের করদাতা। আমার স্ত্রী অন্য দেশের। তাই তাঁর ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা। বিষয়টা মিটে গিয়েছে।’’ তাঁর শ্বশুরবাড়ির কাহিনি সকলকে প্রেরণা জোগাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমার শ্বশুরমশাইয়ের হাতে কিছুই ছিল না। শুধুমাত্র একটা স্বপ্ন, কয়েকশো পাউন্ড ও শাশুড়ি মায়ের দেওয়া গচ্ছিত টাকা।’’
ঋষির সঙ্গে অক্ষতার পরিচয় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। ঋষি ব্রিটেনের নাগরিক হলেও, তাঁর স্ত্রী সে দেশের পাসপোর্ট নেননি। অক্ষতার যুক্তি, ভারতের নাগরিক হিসেবে তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ নেই। সম্প্রতি জানা যায়, ব্রিটেনের কর ব্যবস্থায় অক্ষতা ‘নন-ডোমিসাইলড’ হিসাবে চিহ্নিত। যাঁরা ব্রিটেনের স্থায়ী নাগরিক নন, তাঁদের এই তকমা দেওয়া হয়। বিদেশ থেকে তিনি যে আয় করেন তার জন্য ব্রিটেনে তাঁকে কর গুনতে হয় না। এই তকমা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ব্রিটেনের রাজনীতিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy