ফাইল ছবি
ফের কি পালে হাওয়া লাগল ঋষি সুনকের? ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এত দিন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লিজ় ট্রাসের থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। জনসমীক্ষায় স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, কনজ়ারভেটিভ ভোটদাতাদের পাল্লা ভারী বর্তমান বিদেশমন্ত্রীর দিকেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার এক বিতর্কসভায় দর্শক সুনককেই সমর্থন করেছেন। তবে হাতেগোনা ভোটারের এই সমর্থন আসল ভোটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, তা বোঝা যাবে সেই ৫ সেপ্টেম্বর, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরে।
গতকাল একটি ব্রিটিশ চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত এই বিতর্ক-অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল দেশের অর্থনীতি। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সুনকের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি ও করছাড় নিয়ে বারবার সংঘাত বেধেছে ট্রাসের। গতকালই ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে দেশের জন্য ভয়াবহ মন্দা অপেক্ষা করে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গটি আলোচনার সময়ে সুনক তাঁর পুরনো অবস্থান থেকেই বলেন, ‘‘শুধু করছাড় কোনও দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করতে পারে না। মূল্যবৃদ্ধিকে সমূলে বিনাশ করা প্রয়োজন।’’ অন্য দিকে, ট্রাস বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে কী ভাবে বিপুল করছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবেন।
গতকাল সঞ্চালক কে বার্লে ট্রাসকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চাঁচাছোলা প্রশ্ন করেন। যুদ্ধের শুরুতে বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনে গিয়ে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।’’ সেই প্রসঙ্গ তুলে বার্লে জানান, ডনেৎস্ক এলাকায় মোতায়েন বহু ব্রিটিশ সেনাকে গ্রেফতার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাঁদের প্রাণদণ্ডও হতে পারে। এই সব ছেলেমেয়ের মৃত্যুর দায় কি ট্রাস নেবেন! অন্য দিকে, সুনককে তাঁর ‘বড়লোকি চালের’ জন্যও ব্যঙ্গ করেন সঞ্চালক। বলেন, ‘‘এই প্রাদা পরে তো আপনি এক মাইলও হাঁটতে পারবেন না।’’ হাসির হল্লা ওঠে দর্শকদের মধ্যে।
অনুষ্ঠানের শেষে দর্শকদের জিজ্ঞাসা করা হয়, কে বিতর্কে জিতলেন। অনেক বেশি হাত ওঠে সুনকের সমর্থনে। যা দেখে সঞ্চালকের তির্যক মন্তব্য, ‘‘এটা তো প্রত্যাশা করিনি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy